রাজবাড়ীতে নদী ভাঙন, জরুরি কার্যক্রম শুরু
রাজবাড়ী সদর উপজেলার উড়াকান্দায় পদ্মা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকায় শহর রক্ষা বাঁধের জরুরি কাজ শুরু হয়েছে।
রাজবাড়ী-১ আসনের আওয়ামী লীগদলীয় সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী আজ সোমবার সকালে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন এবং নদীতে জিও ব্যাগ ফেলে জরুরি ভাঙন রোধ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উদ্যোগে জরুরি এই কার্যক্রমে শহর রক্ষা বাঁধের তিনটি স্থানে ৩০০ মিটার নদী ভাঙন রোধে প্রাথমিকভাবে ৯০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
এ সময় রাজবাড়ীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আশরাফ হোসেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর মহল আশরাফী, আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব হোসেন, আজগর মিয়া, বরাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মনিরুজ্জামান সালাম উপস্থিত ছিলেন।
সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী এ সময় বলেন, ‘গত ২১ আগস্ট আমি এই নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে ঢাকায় গিয়ে পানিসম্পদমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করি এবং রাজবাড়ীর নদী ভাঙন এলাকায় নদী শাসনের জন্য জরুরিভাবে কাজ করার অনুরোধ জানাই। তিনি আন্তরিকতার সঙ্গে রাজবাড়ীতে নদী শাসনের জন্য জরুরি কাজ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু পাউবোর কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণে সময় মতো সেকাজ শুরু না করায় আজ রাজবাড়ীর পদ্মা নদীর ভাঙনে ব্যাপক এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ক্ষতি হয়েছে শত শত পরিবারের জায়গা জমি, ঘরবাড়ি, সহায়সম্বল। কিন্তু সময় মতো এখানে নদী শাসনের কাজ শুরু হলে এসব পরিবারের কোনো ক্ষতি হতো না।’
কাজী কেরামত আলী এ ক্ষতির জন্য পাউবো কর্মকর্তাদের দায়ী করে মন্ত্রীর কাছে বিচারের দাবি জানান।
গত ১৫ দিন ধরে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে জায়গা জমি হারিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।