মীর কাসেমের রায় কার্যকরে বাকি দুই প্রক্রিয়া

পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজের মধ্য দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা মীর কাসেম আলীর মামলার সব আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তবে তাঁর মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকরের আগে আরো দুটি প্রক্রিয়া বাকি আছে।
প্রথম প্রক্রিয়াটি হলো রিভিউ আবেদনের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ। এ অনুলিপি প্রকাশিত হওয়ার পর তা ট্রাইব্যুনাল হয়ে কারাগারে পৌঁছানো হবে। তা মীর কাসেম আলীকে আনুষ্ঠানিকভাবে পড়ে শোনাবে কারা কর্তৃপক্ষ। এ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর বাকি থাকবে প্রাণভিক্ষার বিষয়টি।
কারা কর্তৃপক্ষ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেল সুপারের মাধ্যমে মীর কাসেম আলীর কাছে প্রাণভিক্ষার বিষয়ে জানতে চাইবেন। তিনি প্রাণভিক্ষার আবেদন করলে, সেটি নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। প্রাণভিক্ষা নাকচ হলে সব প্রক্রিয়া শেষে সরকার যেকোনো সময় রায় কার্যকর করতে পারে।
বাংলাদেশ দণ্ডবিধি অনুযায়ী, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর প্রাণভিক্ষার জন্য সাত দিন সময় দেওয়া হয়। কিন্তু ট্রাইব্যুনাল আইনে এই বিধি নেই বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এনটিভি অনলাইনকে মাহবুবে আলম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী, প্রাণভিক্ষার জন্য সময় দেওয়ার বিধান নেই। রায় প্রকাশিত হওয়ার পর তাঁকে প্রাণভিক্ষার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হবে। প্রাণভিক্ষা না চাইলে তাঁর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বাধা থাকবে।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪ মিনিটে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মীর কাসেম আলীর রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তাঁর পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন খারিজ করে এ রায় দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ।
বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।