চান্দিনায় অপহরণের ৮ দিন পর কলেজছাত্রী উদ্ধার
কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলায় অপহরণের আট দিন পর এক কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
অপহরণের শিকার ছাত্রী চান্দিনা মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। গত ২৪ আগস্ট দুপুরে কলেজগেটের সামনে থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।
এ ঘটনায় কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার মেরকুট গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন মাইক্রোবাসের চালক খোরশেদ আলম ও তাঁর বাবা শফিকুর রহমান।
অপহরণের ঘটনায় গত ২৯ আগস্ট খোরশেদ, তাঁর বাবা শফিকুরসহ অজ্ঞাত আরো তিন-চারজনের নাম উল্লেখ করে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা করেন কলেজছাত্রীর বাবা।
মামলার লিখিত অভিযোগে বলা হয়, খোরশেদ দীর্ঘদিন ধরে কলেজছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। বিভিন্ন সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাজে কথা বলা এবং প্রেমের প্রস্তাব দিতেন খোরশেদ। কলেজছাত্রী প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে অপহরণ ও হত্যার হুমকি দিতেন খোরশেদ। ২৪ আগস্ট ওই ছাত্রীকে একটি মাইক্রোবাসে করে অজ্ঞাত কয়েকজনের সহায়তায় তুলে নিয়ে যান খোরশেদ। পরে কলেজের সহপাঠীরা মুঠোফোনে বিষয়টি ছাত্রীর বাবাকে জানান।
লিখিত অভিযোগে ওই ছাত্রীর বাবা আরো বলেন, অপহরণকারী সম্বন্ধে আগেই তাঁর জানাশোনা ছিল। তাই মেয়ে অপহৃত হওয়ার পরই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করতে যান তিনি। কিন্তু অপহরণকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় মেয়েকে উদ্ধার করা যায়নি। পরে তিনি চান্দিনা থানায় মামলা করতে চান। কিন্তু চান্দিনা থানার পুলিশ মামলা না নিয়ে আদালতে যেতে পরামর্শ দেয়। এরপর তিনি আদালতে মামলা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চান্দিনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) স্বপন চন্দ্র দাস এনটিভি অনলাইনকে জানান, ‘ভিকটিমের (ভুক্তভোগী) বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মোবাইল টেকনোলজির (মুঠোফোন প্রযুক্তি) মাধ্যমে অক্লান্ত পরিশ্রম করে প্রথমে অপহরণকারী খোরশেদ ও তার পিতা সফিকুর রহমানকে আটক করে চান্দিনা থানায় নিয়ে আসি। পরে তাদের স্বীকারোক্তিমূলক তথ্য অনুযায়ী অপহৃত কলেজছাত্রীকে তাদের নিজ বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার মেরকুট গ্রাম থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উদ্ধার করে চান্দিনা থানায় নিয়ে আসি।’