লক্ষ্মীপুরে প্রভাষক পদে নিয়োগ বঞ্চিতদের সংবাদ সম্মেলন
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট উপকূল ডিগ্রি কলেজে প্রভাষক পদে মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের দ্রুত নিয়োগ দেওয়ার দাবি উঠেছে।
আজ সোমবার সকালে স্থানীয় একটি পত্রিকা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই দাবি তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়, হাজিরহাট উপকূল ডিগ্রি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শূন্য পদে বাংলা ও অর্থনীতি এবং স্নাতক (পাস) শ্রেণির জন্য সৃষ্ট পদে ইংরেজি, সমাজবিজ্ঞান, সমাজকর্ম, অর্থনীতি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রভাষক পদের জন্য গত বছরের ১২ অক্টোবর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যেক বিষয়ের জন্য অন্তত তিনজন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন।
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের মধ্যে থেকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান নির্বাচন করা হয়।
প্রতিযোগিতামূলক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রভাষক পদে বিভিন্ন বিষয়ে প্রথম স্থান অধিকারীদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য নিয়োগ সংশ্লিষ্টরা সর্বস্মতভাবে সিদ্ধান্ত দেন এবং সুপারিশ করেন।
কলেজ কৃর্তপক্ষ কেবল উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শূন্য পদে বাংলা ও অর্থনীতি বিষয়ে প্রভাষক পদে দুজনকে নিয়োগ দেন। নিয়োগ সংশ্লিষ্টদের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই কলেজ কৃর্তপক্ষ স্নাতক (পাস) শ্রেণির জন্য সৃষ্টপদে কাউকে নিয়োগ দেয়নি।
প্রভাষক পদে মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা হলেন- মো. আবদুল বাতেন (সমাজকর্ম), মো. মাহবুবের রহমান (ব্যবস্থাপনা), মো. হাবিবুল বাশার (হিসাববিজ্ঞান), ফাতেমা পারভিন (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি), আবদুর রহমান (সমাজবিজ্ঞান) ও জসীম উদ্দিন (ইংরেজি)।
নিয়োগ না দেওয়ার ফলে মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা উচ্চ আদালতে রিট আবেদন করেন। রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে গত ২৫ জুলাই রুল জারি করেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রুলে কমলনগর উপজেলার হাজিরহাট উপকূল ডিগ্রি কলেজে প্রভাষক পদে মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ ওই ছয়জন প্রার্থীকে কেন নিয়োগ দেওয়া হবে না জানতে চাওয়া হয়।