পুলিশের দাবি বন্দুকযুদ্ধ, পরিবার বলছে হাঁটতে বলে গুলি
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/05/01/photo-1430459127.jpg)
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় পুলিশের গুলিতে একজন আহত হয়েছেন। তাঁর নাম কবির সরদার (৪০)। পুলিশের দাবি, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কুলতিয়ার মোড়ে সড়কে ডাকাতির চেষ্টা করছিলেন কবির। তবে তাঁর চাচাতো ভাই শাহজাহান দাবি করেন, কবির ডাকাত নন, দিনমজুরের কাজ করেন। স্থানীয় একটি মাছের ঘের দখল নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্রে আশাশুনি থানার দারোগা রিপন ও সিপাহি আজিজ তাঁকে বৃহস্পতিবার মাঠ থেকে ধান কাটার সময় ধরে নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন শাহজাহান।
urgentPhoto
এদিকে, জেলা পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কামাল হোসেন জানান, ১০/১২ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত আশাশুনির বুধহাটা সড়কে ডাকাতি করছে—এমন খবর পেয়ে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আওয়াল কবির ও এসআই নাজমুল আহসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দ্রুত সেখানে পৌঁছায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা তাদের লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে এবং কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি করে। প্রায় ৩০ মিনিট গোলাগুলির পর ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এ সময় পাশের জঙ্গলে তল্লাশি করে ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ কবির সরদারকে আটক করে পুলিশ।
এসআই মো. কামাল হোসেন দাবি করেছেন, ডাকাতদের ছোড়া গুলিতে কনস্টেবল রেজোয়ান ও আবদুল আজিজ আহত হয়েছেন।
শাহজাহান বলেন, ‘আটকের পর আমি আওয়ামী লীগ নেতা দৈনিক কালের চিত্র সম্পাদক আবু আহমেদ, আশাশুনি উপজেলা চেয়ারম্যান এ বি এম মোস্তাকিম ও ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা শাকিলকে জানাই। তাঁরা থানায় ফোন করলে তাঁদের জানানো হয় : পুলিশ ওই নামের কাউকে আটক করেনি।’
গুলিবিদ্ধ কবিরের বরাত দিয়ে শাহজাহান আরো বলেন, ‘রাত ৩টায় কবিরকে থানা থেকে বের করে সামনে হাঁটতে বলে পুলিশ। তিনি হাঁটা শুরু করলে পেছন দিক থেকে তাঁকে গুলি করা হয়।’ একই কথা জানান কবিরের সহোদর আসাদুল।
এসআই কামাল আরো জানান, আহত ডাকাত ও দুই পুলিশ সদস্যকে সাতক্ষীরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পুলিশ সদস্যদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ কবিরের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও চাঁদাবাজিসহ কয়েকটি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি দেশি এলজি, কয়েক রাউন্ড কার্তুজ ও ধারালো অস্ত্র জব্দ করা হয়েছে।
আশাশুনি থানার ওসি জানান, এ ঘটনায় কবির সরদারের বিরুদ্ধে একটি সড়ক ডাকাতি ও পুলিশের ওপর হামলা বিষয়ক দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।