বান্দরবানের ঝরনায় নিখোঁজ অধ্যাপকের লাশ হস্তান্তর
বান্দরবানের রুমা উপজেলার রিজুক ঝরনায় নেমে নিখোঁজ হওয়া পর্যটক অধ্যাপক তৌফিক সিদ্দিকী (৪৮) মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় লাশটি হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে গত শনিবার বিকেলে রিজুক ঝরনার পানিতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হন বগুড়ার আজিজুল হক কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তৌফিক সিদ্দিকী (৪৮)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জেলার রুমা উপজেলার দর্শনীয় স্থান রিজুক ঝরনা ভ্রমণে যান বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক তৌফিক সিদ্দিকী পরিবার পরিজনসহ ১৭ জনের পর্যটকের একটি দল। এ সময় ঝরনায় গোসল করতে নেমে সাঁতার কাটার সময় পানিতে ডুবে যান অধ্যাপক তৌফিক। সেনাবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরও গত শনিবার লাশ উদ্ধার করতে পারেনি। পরে আজ সকালে যেখান থেকে অধ্যাপক নিখোঁজ হন, সেখানেই তাঁর লাশ ভেসে উঠতে দেখা যায়। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ ডুবুরি দলের সদস্যরা লাশটি উদ্ধার করে বান্দরবানে নিয়ে আসেন।
পরে পুলিশের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশটি নিহতের সফরসঙ্গী আত্মীয় ফারুক আহমেদসহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ।
নিহত শিক্ষকের সফরসঙ্গী ফারুক আহমেদ বলেন, ১৭ সেপ্টেম্বর সকালে ঢাকা থেকে বান্দরবান এসে রুমায় বেড়াতে আসেন তাঁরা। ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে রিজুক ঝরনায় গেলে নৌকা থেকে অন্যরা নামার আগেই তৌফিক সিদ্দিকী ঝরনার পানিতে নেমে পড়েন। মুহূর্তে গভীর পানিতে তলিয়ে যান তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানান, রিজুক ঝরনার পানিতে যেখানে নিখোঁজ হয়েছিলেন শিক্ষক, সেই ঘটনাস্থলেই মৃতদেহটি পাওয়া গেছে। উদ্ধারের পর পরিবারের অনুরোধে ময়নাতদন্ত ছাড়াই আইনি পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করে লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।