বরিশালে লঞ্চডুবি : মালিক-চালকের বিরুদ্ধে মামলা

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় সন্ধ্যা নদীতে লঞ্চডুবিতে ২৬ জন নিহতের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে বানারীপাড়া থানায় এ মামলা হয়। মামলার বাদী ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জসিম।
এসআই জসিম জানান, মামলার আসামি করা হয়েছে দুজনকে। তাঁরা হলেন ঐশী প্লাস লঞ্চের মালিক ইউসুফ আলী ও লঞ্চের সুকানি (চালক) নয়ন। তাঁদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে বেপরোয়া যান পরিচালনা ও প্রাণহানি সংঘটনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় সন্ধ্যা নদীতে ডুবে যাওয়া লঞ্চ ‘ঐশী প্লাস’-এর আরো তিন যাত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন দুজন।
এদিকে, আজ শুক্রবার সকালে সন্ধ্যা নদীর বিভিন্ন অংশ থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই তিনজন হলেন বানারীপাড়ার মনোয়ারা বেগম (৪৫), উজিরপুরের আল্পনা রানী (২৫) ও একই এলাকার আট বছরের শিশু জিদান।
গত বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের দাসেরহাট মজিদবাড়ী লঞ্চঘাট এলাকায় লঞ্চটি ডুবে যায়।
পরে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি টেনে পানির উপরিভাগে তোলে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজ ‘নির্ভীক’।
বেঁচে যাওয়া কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বানারীপাড়া লঞ্চঘাট থেকে লঞ্চটি ৪০-৫০ জন যাত্রী নিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা উজিরপুরের হাবিবপুরে যাচ্ছিল। পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে লঞ্চটি সন্ধ্যা নদীর ভাঙনকবলিত দাসেরহাট মজিদবাড়ী ঘাটে ভেড়ে। যাত্রী ওঠানামার একপর্যায়ে নদীতীরের একটি বিরাট অংশ ভেঙে লঞ্চের ওপর পড়লে এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একদিকে কাত হয়ে তীব্র স্রোতে তলিয়ে যায়।