চীনের সঙ্গে ‘ফিজিক্যাল কানেক্টিভিটি’ চায় সরকার
চীনের সঙ্গে দীর্ঘদিনের ‘সাংস্কৃতিক ও আত্মিক সম্পর্কের’ কারণে রাষ্ট্রপতি শি জিন পিংয়ের আসন্ন ঢাকা সফরের সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেশটির সঙ্গে ‘ফিজিক্যাল কানেক্টিভিটি’ গড়ে তোলার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে সরকার।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি, চায়নার সঙ্গে আমাদের একটা ফিজিক্যাল কানেক্টিভিটি (সরাসরি সড়ক ও রেলপথ যোগাযোগ) হোক। এটা ভারতবর্ষের জন্য, আমাদের জন্য এবং এই অঞ্চলের জন্য একটা উল্লেখযোগ্য দিক হবে।’
আগামী ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশে সফরে আসছেন চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং। গত তিন দশকে চীনের কোনো রাষ্ট্রপতির এটিই বাংলাদেশে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে চীনের রাষ্ট্রপতির এই সফরে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিকসহ অন্তত ২৫টি চুক্তি ও ২০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে। এসব প্রকল্পে প্রায় এক লাখ ৫৭ হাজার কোটি টাকার অর্থায়ন চূড়ান্ত হতে পারে।
আজ শনিবার রাজধানীতে গণচীনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সৈয়দ আশরাফ বলেন, শি জিন পিংকে যথাযথ সম্মান জানাতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
জনপ্রশাসনমন্ত্রী বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রপতির এই সফরকে রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের জন্য একটি মাইলস্টোন। আমরা কাজ করে যাচ্ছি, এই সফরটাকে আরো সুন্দর করে তোলার জন্য। এবং এটা এই অঞ্চলের রাজনীতির জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটবে যেদিন চীনের রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের মাটিতে পা রাখবেন।’
এ সময় সৈয়দ আশরাফ সম্প্রতি চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে চীনের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছে।
সকালে রাজধানীর তোপখানা রোডের বিএমএ মিলনায়তনে বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল) এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চীনা দূতাবাসের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর ইয়াং জাও হুই, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, সাম্যবাদী দলের পলিটব্যুরোর সদস্য লুৎফর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।