শুরুর ১০ মিনিট পর নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত
নির্ধারিত সময়ের প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নের উত্তর লিখতে থাকেন। ১০ মিনিট পর হঠাৎ ঘোষণা আসে, পরীক্ষা আর হবে না, স্থগিত।
আজ শুক্রবার সকালে অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার (জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা) নিয়োগ পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে। রাজশাহী, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পরীক্ষার্থীরা এই অসমাপ্ত পরীক্ষায় অংশ নেন।
রাজধানীর কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মনির হোসেন, শাহীন খান, বুলবুল হোসেনসহ কয়েকজন ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই ঘণ্টার এই নিয়োগ পরীক্ষা আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রবেশপত্র-সংক্রান্ত কাজে পৌনে এক ঘণ্টা অতিবাহিত করেন পরীক্ষকরা। এর পর অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) প্রশ্নপত্রের সংকটের কারণে একটিকে ফটোকপি করা হয়। প্রতিটি কক্ষে প্রায় ১৫০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে এই ফটোকপি বিতরণ করা হয়। এই ফটোকপির জন্য আধা ঘণ্টা নষ্ট করেন পরীক্ষকরা। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর বেলা ১১টার দিকে প্রশ্ন শুরু করার ১০ মিনিট পর প্রশ্নপত্র ফেরত নিয়ে তাঁরা বলেন, পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
শাহীন খান বলেন, ‘চট্টগ্রাম থেকে এসেছি। আমার টাকা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি শারীরিক ও মানসিক কষ্টও হচ্ছে।’
বিভাগীয় পর্যায়ে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানিয়ে মনির হোসেন বলেন, ‘বিভাগীয় পর্যায়ে এই পরীক্ষা নেওয়া হলে আমাদের এ দুর্ভোগ পোহাতে হতো না।’
গত ২৩ এপ্রিল ছিল ফরম পূরণের শেষ দিন। ইন্টারনেটের মধ্যে ১ মে প্রবেশপত্র দেওয়া হয়। আজ ৮ মে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। এত দ্রুত প্রক্রিয়ায় পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তেই এ অনিয়ম হয়েছে বলে ভুক্তভোগীদের ধারণা।
এ ব্যাপারে অগ্রণী ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি। স্কুলের মূল ফটকের বাইরে নোটিশ টাঙিয়ে তাঁরা চলে যান। নোটিশে লেখা, ‘অনিবার্য কারণে এ পরীক্ষা স্থগিত করা হলো। সময়সূচি পরে জানানো হবে।’
প্রশ্নপত্র কম!
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রশ্নপত্র এবং ওএমআর শিটের ঘাটতির কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল হামিদ বলেন, সাধারণত ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ আবেদনকারী পরীক্ষা দিতে আসে। কিন্তু এবার শতভাগ পরীক্ষার্থী এসেছে।
অগ্রণী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টকে (বিআইবিএম) এ নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।
অগ্রণী ব্যাংকে এবার সিনিয়র অফিসার পদে আবেদন জমা পড়েছিল ১১ হাজার আর অফিসার (ক্যাশ) পদে পড়েছিল সাড়ে তিন হাজার।