নদনদীতে মাছ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু

ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনব্যাপী ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। দেশের ২৭টি জেলার নদনদী এবং উপকূলে আজ বুধবার থেকে আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
এ সময়ে নদী ও উপকূলীয় অঞ্চলে মাছের মৎস্য আড়, মাছ মজুদ, পরিবহন ও বিক্রি বন্ধ থাকবে।
সরকারের ঘোষিত এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ বুধবার থেকে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় নদীতে জাল ফেলা ও সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার।
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে চরভৈরবী পর্যন্ত মেঘনা নদীর ৬০ কিলোমিটার বিস্তীর্ণ নদীসীমানাকে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষণা করে সরকার। সরকারি এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ইলিশের সর্বোচ্চ প্রজনন মৌসুম হিসেবে আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগের চার দিন, পূর্ণিমার একদিন এবং পূর্ণিমার পরের ১৭ দিন মোট এই ২২ দিন প্রজনন সক্ষম ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য সাগর থেকে নদীতে ও মোহনায় উঠে আসে।
আর চলতি বছরে এ প্রজনন মৌসুম হচ্ছে ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর। এ সময় ইলিশকে ডিম ছাড়ার সুযোগ দিতে ২২ দিন মা ইলিশ নিধন, আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও মজুদ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এ আইন অমান্য করলে ইলিশ সংরক্ষণ আইনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ সাজা দুই বছর কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা অর্থ জরিমানা করা হবে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সফিকুর রহমান জানান, ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম সফল করার লক্ষ্যে জেলে ও জনগণকে সচেতন করতে চাঁদপুরের নদীতীরবর্তী এলাকায় ও চরাঞ্চলে এরই মধ্যে ২১ থেকে ২২টি সভা করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা সময়ে এই ২২ দিন চাঁদপুরের ৪১ হাজার ৪২ জন জেলে সরকার থেকে ২০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা পাবেন।