শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি নৌরুটে ১৫ ঘণ্টা পর ফেরি চলাচল শুরু
দেশের পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি নৌপথে নাব্যতা সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। ১৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার বিকেল ৫টার দিকে আবার এই নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
এদিকে দীর্ঘ সময় ধরে রো রো ও ডাম্ব ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় উভয় পাশে শতাধিক নৈশকোচসহ শত শত যানবাহন আটকে আছে। ফলে যাত্রী দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
বিআইডব্লিউটিসিসহ একাধিক সূত্রে জানা যায়, টানা দুই মাস ধরে রাজধানী ঢাকার সাথে শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি নৌরুটের শিমুলিয়ায় দ্রুত পানি কমায় তীব্র নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। সংকট এতটা প্রকট রূপ নিয়েছে যে প্রতিটি ফেরিই ধারণক্ষমতার কম যানবাহন নিয়ে চলতেও হিমশিম খাচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির কাওরাকান্দি ঘাটের ম্যানেজার আবদুস সালাম জানান, মাঝ পদ্মায় অসংখ্য ডুবোচর ওঠায় ফেরি, লঞ্চসহ নৌযানগুলো দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার ভাটিতে গিয়ে পার হচ্ছে। পানি কমার সাথে সাথে এ সংকট আরো প্রকট রূপ নিচ্ছে। বিশেষ করে এ নৌপথের লৌহজং টার্নিং ও পদ্মা সেতুর চায়না ড্রেজিং পয়েন্ট এ পরিস্থিতি ভয়াবহ। এরই মাঝে পদ্মা সেতুর চায়না ড্রেজিং পয়েন্টে গতকাল রোববার রাতে সেতুর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান একটি ড্রেজার স্থাপন করে। এরপর রোববার রাত ১টার দিকে দুটি ফেরি ওই এলাকার ডুবোচরে আটকাপড়ে।
এর সঙ্গে পদ্মা সেতুর ড্রেজিং বসানোয় গতকাল রোববার মধ্যরাত থেকে ফেরি পারাপারে অচলাবস্থা নেমে এসেছিল।
রাত ৪টায় ফেরি উদ্ধার হলেও এরপর থেকেই এ রুটের তিনটি রো রো ও সাতটি ডাম্ব ফেরি পারাপার বন্ধ ছিল। ছয়টি ছোট আকারের কে টাইপ ফেরি সচল থাকলেও সেগুলোও সাবধানতাবশত ধীরে চলছিল। যা দিয়ে শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি নৌপথের যানবাহন পারাপার তুমুলভাবে বিঘ্নিত হচ্ছিল।
সর্বশেষ আজ বিকেলে চায়না ড্রেজারটি নৌ চ্যানেল থেকে অপসারণ করা হলে বিকেল ৫টা থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়।