সকালে পিসিপির বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিকেলে পরিবর্তন
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2016/10/25/photo-1477414432.jpg)
রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আজ মঙ্গলবার সকালে ইউপিডিএফ সমর্থিত চার নারী সংগঠনের সমাবেশে হামলার ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে জেএসএস সমর্থিত পিসিপি ও যুব সমিতিকে দায়ী করা হয়। তবে বিকেলে দেওয়া সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ‘সরকারের লেলিয়ে দেওয়া দুর্বত্তদের’ দায়ী করেছে সংগঠনগুলো।
পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি সোনালী চাকমা ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরূপা চাকমা সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানান, মঙ্গলবার সকালে কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে চিহ্নিত অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার ও সাজার দাবিতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে চার নারী সংগঠন শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। কিছুক্ষণ পর ১২-১২ জন সন্ত্রাসী এসে ধর্মঘটের ব্যানার ও মাইক কেড়ে নেয় এবং প্ল্যাকার্ড আছড়ে ভেঙে দেয়। সরকারের লেলিয়ে দেওয়া দুর্বৃত্তরা অংশগ্রহণকারী নারীদের ধাওয়া দেয় এবং বেশ কয়েকজন নারীকে হেনস্থা ও আঘাত করে। এতে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের রাঙামাটি জেলা শাখার সভাপতি মন্টি চাকমা, দীঘিনালা থানা শাখার সভাপতি এন্টি চাকমা ও সহসভাপতি চৈতালী চাকমা আহত হন। এ সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা নির্বিকার ছিল। দুর্বৃত্তদের এই ন্যক্কারজনক হামলায় কর্মসূচি ভণ্ডুল হয়ে যায়।
ঘটনার পর পরই সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় নিরূপা চাকমা এই হামলার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) কেন্দ্রীয় সভাপতি বাচ্চু চাকমা ও সম্পাদক জুয়েল চাকমার নাম উল্লেখ করে হামলার জন্য পিসিপিকে দায়ী করেন। অথচ বিকেল হতেই অবস্থান পাল্টান তিনি।
নেতারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, শান্তিপূর্ণ অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচিতে নারীদের ওপর হামলার ঘটনাটি পুরোপুরি চিহ্নিত অপহরণকারীদের রক্ষার ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়। বারে বারে এমন ঘটনা ঘটছে।
বিবৃতিতে নেতারা কর্মসূচিতে হামলাকারী দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ, অবিলম্বে কল্পনা চাকমার চিহ্নিত অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
কল্পনা চাকমা অপহরণ মামলার ৩৯তম তদন্ত কর্মকর্তা রাঙামাটির পুলিশ সুপার অপহরণকারীদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি, এই মর্মে মামলা খারিজ করে দেওয়ার মতামত জানিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। কল্পনার ভাই কালিন্দি কুমারসহ হিল উইমেন্স ফেডারেশন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ, ঘিলাছড়ি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি ও সাজেক নারী সমাজ তা প্রত্যাখ্যান করে। চার নারী সংগঠন নতুন তদন্ত কমিটি গঠন এবং চিহ্নিত অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার ও সাজার দাবি জানিয়ে অবস্থান ধর্মঘট কর্মসূচির ডাক দেয়।