দেখি কী হয় : সিইসি

নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বর্তমান কমিশনের কোনো প্রস্তাব নেই। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘গতবার একটি সার্চ কমিটির মাধ্যমে হয়েছে। এবার দেখি কী হয়।’
আজ সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সিইসি এ কথা বলেন। ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে স্থগিত থাকা ভোটকেন্দ্রগুলোর নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন তিনি। আজ সোমবার স্থগিত থাকা ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার কোনো মন্তব্য নাই। আইন হলে আইন হবে যত দিন আইন না হয় তত দিন সংবিধান অনুসারে চলছে। এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। সে মোতাবেক হবে।’
সিইসি আরো জানান, এবার কীভাবে কমিশন গঠন হবে তা দেখার আশায় তিনিও রয়েছেন।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ইউপি নিবার্চন অনুষ্ঠিত হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেছেন, ‘বিলুপ্ত ছিট মহলে এ নির্বাচন ছিল ঐতিহাসিক।’
জেলা পরিষদ নিবার্চন নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের জবাবে সিইসি বলেন, এ নির্বাচন পদ্ধতি সংবিধান পরিপন্থী হলে উচ্চ আদালত তা খতিয়ে দেখবে। তিনি বলেন, ‘কোনো আইন সংবিধান পরিপন্থী কি না- সেটা বিচারের দায়িত্ব উচ্চ আদালতের। রাজনৈতিক দলের ভাষ্য রাজনৈতিক। তারা তাদের ভাষ্য দিবে।’
সন্ধ্যায় কমিশনের মিডিয়া সেন্টারে এক ব্রিফিংয়ে কাজী রকিবউদ্দীন জানান, ৩৯৯টি ইউপির মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ১৭০টি ইউপিতে, সাধারণ সদস্য আসনের নিবার্চন ৮২টি ইউপিতে, পুনঃভোট ১৮৯টি ইউপিতে, সমভোট ৬২টিতে এবং উপনিবার্চন হয়েছে ৬৬টি ইউপিতে।