কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতির হামলায় সম্পাদকসহ আহত ৫
রাঙামাটি সরকারি কলেজে ছাত্রলীগের এক পক্ষের ওপর অপর পক্ষের হামলায় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ইমতিয়াজ রিয়াদও রয়েছেন।
আজ বুধবার সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াদের পক্ষের কর্মীদের ওপর সভাপতি বাপ্পা ও তার পক্ষের লোকজন এ হামলা চালায়।
জানা যায়, সকালে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্বসংঘর্ষের জের ধরে সভাপতি বাপ্পার নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা আবদুর রব, রাফিউল ইসলাম শিমুল, হাসান মুরাদ, দীপঙ্কর দেসহ বেশ কিছু নেতাকর্মী চাপাতি ও লাঠিসোটা নিয়ে কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ ইমতিয়াজ রিয়াদের পক্ষের শাওন নামের এক কর্মীকে মারধর করে। এ সময় স্থানীয়রা শাওনকে বাঁচাতে গেলে বনি মাহমুদ নামের এক স্থানীয় যুবকও আহত হয়। পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে সভাপতি বাপ্পা তার লোকজন নিয়ে রিয়াদসহ তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এতে রিয়াদ, শিমুল দাশ ও পারভেজ আহত হয়।
আহত ছাত্রলীগ কর্মীদের রাঙামাটি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রিয়াদের চোখে গুরুতর আঘাত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
রিয়াদের অভিযোগ, সভাপতি বাপ্পা চাপাতি হাতে হামলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিনা উসকানিতেই এই হামলা চালানো হয় বলেও দাবি করেন তিনি। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল জব্বার সুজন সংঘর্ষ চলাকালে বহিরাগতদের কলেজ ক্যাম্পাসে পাঠিয়েছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি বাপ্পা জানিয়েছেন,তিনি ঘটনার সময় ক্যাম্পাসে ছিলেন না। কলেজে কিছু বহিরাগত তাদের কর্মীদের প্রায় সময়ই কটূক্তি করে। তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিহত করেছে। তিনি কিছু জানেন না বলেও জানান।
রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা বলেন, ‘আগের ঘটনার তদন্ত কমিটি আমাদের প্রতিবেদন দিয়েছে। আমরা ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই তারা আবার সংঘাতে জড়িয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে। এবার আমরা কঠোর পদক্ষেপ নেব। এ রকম ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত।’
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহম্মদ রশীদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, পূর্ববিরোধের জের ধরে রাঙামাটি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কর্মীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের এই দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সে সময়ও বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়। ওই ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিলেও এখনো দায়ী দুপক্ষের কারো বিরুদ্ধেই কোনো সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।