বান্দরবানে কঠিন চীবরদান উৎসব সম্পন্ন
বান্দরবানে বৌদ্ধভিক্ষুদের ছোয়াইং দেওয়ার মাধ্যমে কঠিন চীবরদান উৎসব সম্পন্ন হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহার থেকে দুই শতাধিক বৌদ্ধভিক্ষু মধ্যমপাড়া-উজানীপাড়া ঘুরে ঘুরে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষের কাছ থেকে ছোয়াইং ও দানের টাকা গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লাসহ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নেতারা অংশ নেন।
তিন মাস বর্ষাবাসে (উপস) থাকার পর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় বান্দরবানে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা কঠিন চীবরদান উৎসব পালন করে। এই উৎসবে পাহাড়িরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নতুন তুলা থেকে চর্কার মাধ্যমে সুতা তুলে বৌদ্ধভিক্ষুদের পরিধানের জন্য কাপড় বুনে ভিক্ষুদের চীবরদান করেন। কোনো প্রকার সেলাই ছাড়া তৈরি চীবর কাপড় ক্যায়াংয়ে বৌদ্ধভিক্ষুদের বিতরণ করা হয়।
প্রবারণা পূর্ণিমা থেকে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে কঠিন চীবরদান উৎসব শুরু হয়। বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারগুলোতে পর্যায়ক্রমে মাসব্যাপী চলা এ উৎসব ছোয়াইং দানের মাধ্যমে শেষ হয়।
প্রচলিত আছে প্রায় দুই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধের মহা পুণ্যবতী নারী বিশাখা দেবী এই কঠিন ব্রতী পালন করে বুদ্ধকে চীবর দান করেছিলেন। সেই থেকে প্রতিবছর বান্দরবানে রাজগুরু কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারসহ পাহাড়ের বৌদ্ধ ক্যায়াংগুলোতে ব্যাপক আয়োজনে কঠিন চীবর দানোৎসব পালন করে আসছে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকেরা।
অনুষ্ঠানের শেষ দিনে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর বলেন, ‘তিন মাস প্রার্থনার পর আত্মার শান্তির জন্য পাহাড়ের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা ধর্মীয় গুরুদের দান করে পরিশুদ্ধি লাভের আশায়। ধর্ম মানুষকে শুধু পরিশুদ্ধি নয়, ন্যায় এবং সত্যের পথে চলার দিকনির্দেশনা দেয়।’