রিকশাচালক আবুল কালাম আজাদও চলে গেলেন
গাইবান্ধায় বাসে পেট্রলবোমা হামলার ঘটনায় দগ্ধ রিকশাচালক আবুল কালাম আজাদও (৩২) চলে গেলেন। আজ রোববার দুপুর আড়াইটার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তাঁর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ওই পেট্রলবোমা হামলায় আটজনের মৃত্যু হলো।
হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান মারুফুল ইসলাম এনটিভিকে জানান, দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে রিকশাচালক আবুল কালাম আজাদের মৃত্যু হয়। তাঁর বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডীপুর গ্রামে।
গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে গাইবান্ধা সদর উপজেলার তুলসীঘাটে ঢাকাগামী নাপু এন্টারপ্রাইজের একটি বাসে দুর্বৃত্তরা পেট্রলবোমা হামলা চালালে ঘটনাস্থলেই মারা যান চারজন। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর শনিবার তিনজন ও রোববার একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দগ্ধ হন আরো অন্তত ৪০ যাত্রী।
নিহত ব্যক্তিরা সবাই গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। এঁরা হলেন চণ্ডীপুর গ্রামের বাসিন্দা সোনাভান (২৫), তাঁর ছেলে সুজন (১০), একই গ্রামের সাজু মিয়া (২৫), আবুল কালাম আজাদ (৩২), শাজাহান আলীর ছেলে সুমন মিয়া (২২), পশ্চিম চণ্ডীপুর গ্রামের সাইখ মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগম (৪২), দক্ষিণ কালীর খামার গ্রামের খয়বর হোসেন দুলুর ছেলে সৈয়দ আলী (৪২) ও মধ্যপাড়া গ্রামের নাগের খামার গ্রামের বলরাম দাসের মেয়ে শিল্পী (১০)।