সংসদ নির্বাচনে জাপানের পর্যবেক্ষক চান সিইসি
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পর্যবেক্ষকদের পাশাপাশি এবার জাপানের পর্যবেক্ষদের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আমন্ত্রণ জানালেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি সঙ্গে বৈঠকে সিইসি এ আমন্ত্রণ জানানো হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম এ তথ্য জানান।
পর্যবেক্ষক নিয়ে জাপানের রাষ্ট্রদূত কোনো কিছু বলেননি জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, ‘সিইসি যেটা বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আমাদের কাছে অনুরোধ এসেছিল, আমরা সেটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছিলাম। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইইউ যোগাযোগ রাখছে, সেক্ষেত্রে বলা হয়েছে, তারা টিম পাঠাতে পারেন। সিইসি তাদেরও অনুরোধ করেছেন, আপনারা পর্যবেক্ষণ টিম পাঠান আমরা স্বাগত জানাব।’
রাষ্ট্রদূত কী বলেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘উনি তো সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন না। ওনার রাষ্ট্রের সঙ্গে আগে কথা বলবেন। তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন।’
জাপানের রাষ্ট্রদূত এসেছিলেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে। বাংলাদেশে যোগদানের পর এটাই প্রথম প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব।
জাপানের রাষ্ট্রদূত নির্বাচনি রোডম্যাপ সম্পর্কে কমিশনের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন জানিয়ে জাহাংগীর আলম বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বরে ঘোষিত রোডম্যাপের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান নির্বাচন কমিশনার তাকে বিষয়ে ব্রিফ করেছেন। নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের অগ্রগতি, নির্বাচনী এলাকাগুলোর যে বিভক্তিকরণ তার অগ্রগতি। কোন পদ্ধতিতে আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেই, সেগুলো জানতে চেয়েছেন।’
জাপানের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ইতো নাইকি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলেন, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না— জানতে চাইলে ইসি সচিব বলেন, ‘না এ জাতীয় কোনো আলোচনা হয়নি।’
জাপানি রাষ্ট্রদূত সন্তুষ্ট কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে জাহাংগীর আলম বলেন, ‘এখানে সন্তুষ্ট-অসন্তুষ্টর কিছু নেই। ওনার ঠিক আছে, না আছে এ জাতীয় বলাই তো ঠিক না। এটা আমাদের রাষ্ট্রীয় বিষয়। জাপান চাইলে তারাও পর্যবেক্ষণ টিম পাঠাতে পারে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার তাদের স্বাগত জানাবেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, ‘আমি এই সময় পর্যন্ত সুযোগ মিস করেছি। আমার এটা প্রথমবারের মতো, আমি তথ্য নিয়েছি নির্বাচন কমিশন হিসেবে তারা এখন পর্যন্ত কী করেছে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে তারা কী করবে।’