ফরিদপুরের কুমার নদ রক্ষায় কচুরিপানা সরাচ্ছেন জেলেরা
ফরিদপুরের প্রাণ কুমার নদ রক্ষায় শুরু হয়েছে মহা কর্মযজ্ঞ। আজ শনিবার (১৭ জুন) সকাল ৭টার দিকে শহরের বিসর্জন ঘাটে এ কাজের উদ্বোধন করেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার।
জানা গেছে, কুমার নদ রক্ষায় ফরিদপুরের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে কচুরিপানা অপসারণের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়। শহরের আলিমুজ্জামান বড় ব্রিজ থেকে চরকমলাপুর ব্রিজ পর্যন্ত দশটি স্পটে নদীর উভয় পাড়ে এ কার্যক্রম চলছে। কুমার নদের কচুরিপানা অপসারণের মূল কাজটি করছেন ফরিদপুরের জেলে সম্প্রদায়। প্রায় এক হাজার জেলে ২০০ নৌকা নিয়ে এতে অংশ নিচ্ছেন। জেলেরা নৌকা নিয়ে মাঝ নদী থেকে কচুরিপানা সরাচ্ছেন। আর স্বেচ্ছাসেবকরা সেগুলো সুবিধাজনক স্থানে তুলে রাখছেন।
জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান বলেন, ‘শহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কুমার নদ ফরিদপুরের প্রাণ। কুমার নদ বাঁচলে ফরিদপুর শহর বাঁচবে। এভাবে আমাদের চোখের সামনে কুমার নদ সারা বছর হাজামজা থাকবে এটি হতে পারে না। কুমার নদকে রক্ষা করতে যা যা করা দরকার সবই করা হবে। এ নদী নিয়ে যতোদূর যাওয়া যায় আমরা পর্যায়ক্রমে ততোদূর যাব। কচুরিপানা অপসারণের মাধ্যমে এ কাজের সূচনা হলো। এরপর নদীকে দখল ও দূষণমুক্ত করতে যা যা প্রয়োজন সবই করা হবে। আমরা এ কাজে সবাইকে সম্পৃক্ত করতে চাই। কুমার নদ রক্ষায় সবার মধ্যে একটি বার্তা পৌঁছে যাবে। যার যার পাড়ের ময়লা অপসারণে তারা নিজে থেকে আগ্রহী হবেন।’
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘কুচুরিপানা পরিষ্কার কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর কুমার নদের দূষণ ও দখলবিরোধী কার্যক্রম শুরু হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন—ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন, ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র অমিতাভ বোসসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, এনজিও সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।