পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’ তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশিদের কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে দেওয়া হবে না। তবে, নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক আনার সুযোগ থাকবে।

আজ রোববার (২৫ জুন) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধায় ডিপ্লোমেটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ডিক্যাব) উদ্যোগে আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’–এ এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

ডিক্যাবের সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইমরুল কায়েসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।

জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল (শান্তিরক্ষীপ্রধান) জাঁ পিয়ের লাক্রোয়া এখন ঢাকা সফর করছেন। তাঁর এই সফর সামনে রেখে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিয়োগের ক্ষেত্রে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয় যাচাই–বাছাইয়ের আহ্বান জানিয়ে ১২ জুন বিবৃতি দিয়েছিল এইচআরডব্লিউ।

গত শুক্রবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও এই নিয়ে বিবৃতি দেয়। এ ছাড়া বাংলাদেশের সামরিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যাতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করতে না পারেন, সে জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে গত ২৫ মে চিঠি দেন ছয়জন মার্কিন কংগ্রেস সদস্য। এ বিষয়ে জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ১০ বছর ধরে কাজ করছে। যেখানে ১৬৯ জন জীবন দিয়েছেন। এই অর্জনকে যারা খাটো করে দেখছেন, ব্যর্থ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন, তারা বাংলাদেশের বন্ধু নন, শত্রু। তারা কংগ্রেসম্যান, নাগরিক, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী যে-ই হোন, তারা শত্রু। তাদের যারা টাকা দিয়ে প্রভাবিত করেছেন, তারাও যে বাংলাদেশের শত্রু, এটা চেনার সময় এসেছে। এটা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার কোনো কারণ নেই। এগুলো অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ।’

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের পক্ষ থেকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে ডেকে কথাও বলা হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে, কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করার আগে যেন রিভিউ করতে দেওয়া হয়, আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়, কিন্তু তারা তা করেনি। এরপর থেকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে এনগেজ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’