রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আল হামুদি। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে বঙ্গভবনে সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রদূত আগামী ডিসেম্বরে দুবাইতে অনুষ্ঠিতব্য ‘কপ-২৮’ এবং ইউএই’র ৫২তম জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সেই দেশের প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণপত্র হস্তান্তর করেন।
আমন্ত্রণপত্রে ইউএই প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাত ৩০ নভেম্বর থেকে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে দুবাই এক্সপো সিটিতে অনুষ্ঠিতব্য ২৮তম কপ অধিবেশনে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের পক্ষগুলোর সম্মেলনের হোস্ট ও সভাপতিত্ব করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাই মহামহিমকে গ্লোবাল ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিট—এ অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। যেটি জলবাযু সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের প্রতিনিধিত্ব করবে ও ১ থেকে ২ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৫২তম জাতীয় দিবসও একই সঙ্গে উদযাপন করা হবে।’
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন গণমাধ্যমকে জানান, আমন্ত্রণ জানানোর জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের মাধ্যমে যে দ্বিপাক্ষিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে, তা বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আজ বিস্তৃত। জ্বালানিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্প্রসারণ সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল। দুই দেশের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে পারস্পরিক সফর বিনিময়ের মাধ্যমে চলমান সম্পর্ক আরও অনেক উচ্চতায় পৌঁছাবে।’
পরে আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর যুগান্তরকারী ঘটনা।’ বাংলাদেশ গত এক দশকেরও বেশি সময়ে যে অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন করেছে, সেটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়নে সংযুক্ত আরব আমিরাত সব সময়ই পাশে থাকবে।’ এ সময় সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।