এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না, তা বারবার প্রমাণিত : জামাল হায়দার
জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর কোনো নির্বাচনেই জনগণ ভোট দিতে পারেনি। বিরোধী প্রার্থীর ওপর চালানো হয় হামলা। দখল করে নেওয়া হয় ভোট কেন্দ্র। সোমবারও ঢাকা ১৭ উপনির্বাচনে সরকারের চেহারা আসল আবারও ফুটে উঠেছে। এ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, তা বারবার প্রমাণ হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে সরকার পদত্যাগের একদফা দাবি পদযাত্রা কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে জামাল হায়দার এসব কথা বলেন। কাকরাইল মোড় থেকে শুরু হয়ে মতিঝিল শাপলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয় এ পদযাত্রা।
জামাল হায়দার বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলন নয়। এ আন্দোলন জনগণ ভোট ও বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার আন্দোলন। সরকার সহজেই এ দাবি মেনে নেবে না। তাই গণঅভ্যুত্থানে মাধ্যমে এ সরকারের পতন ঘটিয়েই দাবি আদায় করতে হবে।’
জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদার পরিচালনায় এতে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক।
আরো বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব সাবেক সংসদ সদস্য আহসান হাবিব লিংকন প্রেসিডিয়াম মেম্বার সাবেক সংসদ সদস্য নওয়াব আলী আব্বাস, কল্যাণ পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব নুরুল কবীর পিন্টু, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রওনক ইব্রাহিম, যুগ্ম মহাসচিব তমিজ উদ্দিন টিটু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিনিয়র যুব মহাসচিব আব্দুল মালিক চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি জাকির হোসেন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের (বিএমএল) চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন প্রধান, ন্যাপ ভাসানির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, জাস্টিস পার্টির চেয়ারম্যান ডক্টর জাবেদ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, মহাসচিব মানসুর আলম শিকদার প্রমুখ।