নির্বাচন কমিশনে এবি পার্টির প্রতিবাদলিপি
নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। একইসঙ্গে দলের পক্ষ থেকে নেতারা প্রতিবাদলিপি দিয়েছেন। তাদের দাবি—সক্রিয়, কার্যকর ও নিবন্ধনের সকল শর্ত পূরণ করা রাজনৈতিক দল বাদ দিয়ে অপরিচিত, ভূঁইফোঁড়, অকার্যকর দলকে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আজ রোববার (২৪ জুলাই) সকাল ১১ টায় বিক্ষোভ করেন তারা।
এবি পার্টির আহ্বায়ক সাবেক সচিব এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী ও দলের সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আগারগাঁও শেরাবাংলা নগরের নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যান। তারা সেখানে লিখিত প্রতিবাদলিপি প্রদান করেন এবং উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
এ সময় এবি পার্টির আহ্বায়ক এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মাঠে ময়দানে সক্রিয়, কার্যকর এবং নিবন্ধনের সব শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও এবি পার্টিসহ একাধিক রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন না দিয়ে অপরিচিত, ভূঁইফোঁড়, অকার্যকর দলকে নিবন্ধন দিয়ে নির্বাচন কমিশন চরমভাবে বিতর্কিত হয়েছে। ইতোমধ্যে জাতীয় গণমাধ্যম এবং সচেতন সর্বমহলে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমলোচনা দেখা দিয়েছে। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনে এরকম বৈষম্যমূলক, অনিয়মতান্ত্রিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এবি পার্টিসহ সক্রিয় ও কার্যকর দলগুলোর নিবন্ধন প্রদানের জোর দাবি জানাচ্ছি।’
সোলায়মান চৌধুরী আরও বলেন ‘মাঠপর্যায়ে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলার সময় কয়েকটি জেলার বেশ কিছু উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে রহস্যজনকভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশপ্রণোদিত হয়ে আমার বাংলাদেশ পার্টির প্রতি বিদ্বেষ ও হয়রানিমূলক আচরণ করতে দেখা যায়। আমরা তৎক্ষণাৎ নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবরে আপত্তি জানিয়ে একটি চিঠি ও স্মারকলিপি প্রদান করেছিলাম। কিন্তু, দুঃখজনক হলেও সত্য, নির্বাচন কমিশন এ ব্যপারে কোনো তদন্ত বা প্রতিকারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।’
দলের সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আবেদনকারী ৯৩টি রাজনৈতিক দল হতে প্রথম পর্যায়ে ১২টি এবং অধিকতর যাচাই বাছাইয়ের পর চারটি রাজনৈতিক দলকে ইসি চুড়ান্তভাবে বাছাই করে। সেই চারটি দলের ১০ শতাংশ জেলা-উপজেলায় আবার পুনর্তদন্ত করা হয়। প্রতিটি স্তরের যাচাই বাছাইতে আইন ও নিয়মানুযায়ী এবি পার্টি যোগ্য বিবেচনায় শীর্ষস্থানে ছিল। কিন্তু সর্বশেষে এসে ইসি এসব যাচাই বাছাইকে তুচ্ছ ও ছেলেখেলা বানিয়ে দিয়ে প্রহসনের আশ্রয় নিয়ে প্রেসক্রাইবড দুটি দলকে নিবন্ধন দিয়েছে।’
প্রতিবাদলিপি দেওয়ার সময় এবি পার্টির নেতা কর্মীরা নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন দলের সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আনোয়ার সাদাত টুটুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসেইন, গাজীপুর জেলা আহ্বায়ক এম আমজাদ খান, যুব পার্টির সদস্য সচিব শাহাদাত উল্লাহ টুটুল, কেন্দ্রীয় নেতা গাজী নাসির, তোফাজ্জল হোসেন রমিজ, হাদিউজ্জামান, সফিউল বাশার, ছাতনেতা মোহাম্মদ প্রিন্স, ফজলে এলাহী মোহন, মহানগর নেতা আমিরুল ইসলাম, সুলতানা রাজিয়া, আব্দুল হালিম নান্নু, মাসুদ জমাদ্দার রানা, সাইফুল মির্জা, মো. আনোয়ার হোসাইন, আব্দুল মান্নান, ফেরদৌসি আক্তার অপি, আমেনা আক্তার প্রমুখ।