নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার (ইজিবাইক) শো রুমে বিস্ফোরণে তিনটি ভবনের দেয়াল ধসে কয়েকজন দগ্ধসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কাশীপুর ইউনিয়নের ভোলাইল এলাকায় ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ সড়কের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন জানায়, বিকট শব্দে মুসকান মটর্স নামে অটোরিকশার শোরুমে বিস্ফোরণ ঘটে। দূর থেকে বিস্ফোরণের এই শব্দ শোনা যায়। এ সময় পাশের একটি টিনের সেমিপাকা ঘর ও একটি দোতলা ভবনের দেয়াল ও ছাদের অনেকটা ধসে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশপাশের অনেক ভবনের জানালার কাঁচ। এতে আহত সবাইকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। শো রুমের মালিকের নাম স্বপন হোসেন।

আহতরা বলন, অটোরিকশা শোরুমের ভেতর থেকে বিস্ফোরণের ঘটে। শোরুমটির দুই পাশের দেয়াল পুরোটা ধসে গেছে। এ সময় দেয়াল চাপায়, কাচের আঘাত ও আগুনে দগ্ধ হয়ে আহত হয় অনেকে।

শোরুম ও নির্মাণাধীন ভবনটির মালিক স্বপন হোসেনের জানান, ব্যাটারিচালিত রিকশা অ্যাসেম্বল করে বিক্রি করেন তিনি। কীভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে সে বিষয়ে তার কোনো ধারণা নেই।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) ফখরউদ্দিন আহম্মাদ জানান, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পাশে একটি নির্মাণাধীন পাঁচতলা ভবনের নিচতলায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা অ্যাসেম্বল এবং বিক্রি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে অসংখ্য ব্যাটারি আছে। এসব ব্যাটারি থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনায় আহতরা হলেন শোরুমের পাশের ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মালিক সিরাজুল হক, তাঁর স্ত্রী রোকসানা বেগম, তাদের তিন ছেলে সুমন হক, মাসুদ ও রাসেল, মাসুদের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার, রাসেলের স্ত্রী দোলা আক্তার, সুমনের স্ত্রী বীথি আক্তার, ছেলে আবু সুফিয়ান, মেয়ে আরফা মনি, মাসুদের ছেলে আবু বকর সিদ্দিক, রাসেলের ছেলে আরফান ও নির্মাণ শ্রমিক পল্টু।