টানা বর্ষণে সাতকানিয়ার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পাহাড় ধসের শঙ্কা
গত শুক্রবার থেকে টানা ভারি বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে সাতকানিয়ার নিম্নাঞ্চল । এসব এলাকার গ্রামীণ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মানুষ। শঙ্খ ও ডলু নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সরেজমিন গিয়ে ও বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
এদিকে প্রবল বর্ষণে উপজেলার চরতী, কাঞ্চনা, মাদার্সা, সোনাকানিয়া, ছদাহা ও পুরানগড ইউনিয়নে পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থানরত লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদের ব্যবস্থাপনায় মাইকিং করা হয়েছে উল্লেখ করে সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন বিশ্বাস বলেন, উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কিছু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমরা সোমবার উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের অফিসারদের নিয়ে একাধিক দল গঠন করে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করব।’
উপজেলার নিম্নাঞ্চলের আউশ ধান ও ক্ষেত জমির ফলফলাধি পানিতে তলিয়ে গেছে। তলিয়ে গেছে ধানের বীজতলাও। উপজেলার চরতি, আমিলাইষ, নলুয়া, খাগরিয়া, কালিয়াইশ, ধর্মপুর, বাজালিয়া, পুরানগড় ইউনিয়নে বেশ কয়েকটি এলাকায় শঙ্খনদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। কেওচিয়া ইউনিয়নের ১, ২, ৩, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের বেশ কিছু গ্রামীণ সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার মানুষ মূলত গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছে।
কেওচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওসমান আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আবহাওয়া অফিস বলছে আরও কয়েকদিন ভারি বর্ষণ হবে। আজ রোববার ভোরে পাওয়া তথ্য অনুয়ায়ী উপজেলার চরতি, নলুয়া, আমিলাইষ, খাগরিয়া, বাজালিয়া, ছদাহা ও পুরানগড়, কালিয়াইশসহ উপজেলার কয়েকটি নিম্নাঞ্চল ও বিল অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার বাজালিয়া, ছদাহা, কেওচিয়া সোনাকানিয়া, কাঞ্চনা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের জমিতে পানি আটকে থাকায় ফলফলাদি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কৃষক এবং নিম্নাঞ্চল এলাকার মানুষদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, টানা ভারি বর্ষণে পাহাড় ও ভূমি ধ্বসের আশঙ্কায় পাহাড়ি এলাকায় অবস্থানরত বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার জন্য সতর্ক করেছে উপজেলা প্রশাসন।