ইজিবাইক চালক সাইদুল হত্যা মামলায় তিনজনের যাবজ্জীবন
ঢাকার নবাবগঞ্জে ইজিবাইক চালক সাইদুল ইসলাম হত্যা মামলায় তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন শাহ আলম, কাশিম ও শহিদ মিয়া। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া এ রায় প্রদান করেন। রায়ে কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পর আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি আপন মিয়াকে খালাস প্রদান করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি বিমল সমাদ্দার বিষয়টি জানিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামি শাহ আলমের মেয়ের জন্মদিন পালনের জন্য টাকার প্রয়োজন থাকায় আসামি শাহ আলম, কাশেম, শহিদ, আরিফুল আপনের সাথে ২০১৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে মাসাইল ব্রিজের ওপর ইজিবাইক ছিনতাই করার পরিকল্পনা করে। ওই পরিকল্পনা মতে গত ৭ সেপ্টেম্বর সকালে তারা পাঁচজন মিলে ভিকটিম সাইদুল ইসলামের ইজিবাইক নিয়ে মেলেং স্ট্যান্ড হয়ে শোলা ব্রিজের নিচে নৌকাযোগে ইজিবাইক পার করে হাতিয়া ঘাটে পৌঁছান এবং সাইদুল বাদে তারা পাঁচজন চায়ের দোকানে চা খান। বেলা ১১টার দিকে তারা রুপার চর বাজারের ভিতর দিয়ে মেঠো রাস্তা হয়ে সিঙ্গাইর থানাধীন নীলাম্বরপট্টিস্থ আমিরের বাড়িতে গিয়ে তারা পাঁচজনে এক লিটার মদ কিনে খান এবং সাইদুল গাড়ি চালাতে অসুবিধা হবে উল্লেখে মদ খেতে অস্বীকার করেন। তৎপর তারা ক্ষতিরায় হাটে আসার পথে নিরিবিল জায়গায় খইনপাতা ও পাটক্ষেত্রে পৌছে আসামি সাহা আলম, কাশেম, শহিদ, আরিফ ও আপনগণ সাইদুল কে হত্যার পরিকল্পনা করেন এবং সকলে মিলে গামছা পেছিয়ে সাইদুলকে হত্যা করেন। পরবর্তীতে লোকজন ও পুলিশের সহায়তায় আসামি শহিদকে ধৃত করা হলে আসামি শহিদ, শাহ আলম, কাসিম, আপন মিয়া ও আরিফ হোসেন মিলে ভিকটিম সাইদুল ইসলামকে হত্যা করে লাশ খতিয়া ঘাটের ওপারে রুপার চরে পাট ক্ষেতে ফেলে রাখার ও সিংগাইরে ইজি বাইকটি বিক্রয়ের কথা স্বীকার করেন। তখন নবাবগঞ্জ থানা পুলিশ আসামী শহীদ মিয়ার দেখানো মতে তাদের উপস্থিতিতে গত ১০ সেপ্টেম্বর ১৩.৫০ ঘটিকায় ভিকটিম সাইদুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা মো. জাহাঙ্গীর নবাবগঞ্জ থানায় মামলা করে। পরবর্তীতে নবাবগঞ্জ থানার এসআই রিয়াজ উদ্দিন আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা বিচারকালে ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।