নিখোঁজের চার দিন পর ইজিবাইকচালকের মরদেহ উদ্ধার
নওগাঁর মান্দায় নিখোঁজ হওয়ার চার দিন পর এক ইজিবাইকচালকের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে জেলার পোরশা উপজেলার গুন্দইল এলাকার একটি খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ওই ইজিবাইকচালকের নাম গোলাম রাব্বানী (৩৫)। তিনি মান্দা উপজেলার উত্তর শ্রীরামপুর গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে।
নিহত ইজিবাইকচালকের স্বজন ও মান্দা থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার সকাল ৯টার দিকে গোলাম রাব্বানী ভাড়ার উদ্দেশে ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। স্থানীয় জিগাতলা বাজারে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, সকাল ১০টা ২০ মিনিটে তিনি একই গ্রামের বাসিন্দা নাহিদ হোসেন ও তুহিন মহাদেবপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। ওই দিন সন্ধ্যা থেকে তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। আত্মীয়স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজেও তাঁর হদিস না পেয়ে পরের দিন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তাঁর বাবা আক্কাস আলী।
বুধবার সিসি টিভির ভিডিও ফুটেজ দেখার পর নাহিদ ও তুহিনের বিরুদ্ধে রাব্বানীকে অপহরণের অভিযোগে মান্দা থানায় মামলা করেন তাঁর বাবা। এরপর থেকে অভিযুক্ত তুহিন ও নাহিদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আজ দুপুর ১২টার দিকে পোরশা উপজেলার গুন্দইল খালে একটি ভাসমান মরদেহ দেখতে পেয়ে পোরশা থানা পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
মান্দা থানা পুলিশের মাধ্যমে জানতে পেরে রাব্বানীর স্বজনরা সেখানে গিয়ে মরদেহটি শনাক্ত করেন। পরে দুপুরে মরদেহ উদ্ধার করে মান্দা থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, ধারণা করা হচ্ছে নিখোঁজের দিনেই গোলাম রাব্বানীকে হত্যা করে ইজিবাইকটি ছিনতাই করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। মরদেহ উদ্ধারের সময় তাঁর দুটি হাত পিঠের পেছন দিকে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়। উদ্ধারের পর মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন নাহিদ ও তুহিন নামে দুই যুবক পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আসাদুর রহমান জয়, নওগাঁ