রমনায় নতুন এডিসি শাহ্ আলম
ডিবি-মতিঝিল বিভাগের খিলগাঁও জোনাল টিমের এডিসি শাহ্ আলম মো. আখতারুল ইসলামকে রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (রমনা জোন) হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে। আজ সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া আ্যন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন এ তথ্য জানান।
এদিকে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের থানায় মারধরের ঘটনায় ডিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন-অর-রশীদকে গতকাল রোববার দুপুরে রমনা বিভাগ থেকে দাঙ্গা দমন বা পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। এরপর সন্ধ্যায় তাকে এপিবিএনে বদলি করা হয়। পরে আজ সোমবার বিকেলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের (পুলিশ-১) প্রজ্ঞাপনে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘যেহেতু ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার হারুন-অর-রশীদকে জনস্বার্থে সরকারি কর্ম হতে বিরত রাখা আবশ্যক ও সমীচীন, সেহেতু তাকে সরকারি চাকরি আইন-২০১৮-এর (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) ৩৯ (১) ধারার বিধান মোতাবেক ১১ সেপ্টেম্বর তারিখ থেকে সরকারি চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।’
আরও বলা হয়েছে, ‘সাময়িক বরখাস্ত থাকার সময়ে হারুন পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।’
পুলিশের এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুনের আড্ডা দেওয়া নিয়ে গত শনিবার রাতে ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের ওই দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে আহত করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‘এটা যে করেছে, পুলিশ হোক, যে-ই হোক, যে অন্যায় করে তার শাস্তি অবশ্যই হবে। কেন করেছে, কী করেছে, আমরা তাকে জিজ্ঞাসা করি। তার এই পুরো কর্মকাণ্ডের জন্য তাঁকে জবাবদিহি করতে হবে।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘অবশ্যই তিনি যতখানি অন্যায় করেছেন, ততখানি শাস্তি তিনি পাবেন।’
মারধরের শিকার ছাত্রলীগের নেতারা হলেন—কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ। এই দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ তাদের শাহবাগ থানায় নিয়ে বেদমভাবে পিটিয়েছেন। ছাত্রলীগের নেতা পরিচয় দেওয়ার পরও হারুনের সঙ্গে পুলিশের সদস্যরা তাদের পেটান।
পুলিশ সূত্র জানায়, এডিসি হারুনের সঙ্গে শাহবাগের একটি হাসপাতালে পুলিশের একজন নারী কর্মকর্তা আড্ডা দিচ্ছিলেন। সেখানে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে ওই নারী কর্মকর্তার স্বামী হাজির হন। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে এডিসি হারুন সেখান থেকে চলে যান।