নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে শখের বসে বিমানে ওঠে জোনায়েদ
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শিশু জোনায়েদ মোল্লা (১০) নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি বিমানে উঠে পড়ে। বিমানটি উড্ডয়নের প্রস্তুতি নেওয়ার আগ মুহূর্তে জানা যায়, সে ওই ফ্লাইটের যাত্রী নয়।
বিমানবন্দর থানা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ৩টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকা থেকে কুয়েতগামী কুয়েত এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট (কেইউ-২৮৪) পাসপোর্ট ও বোর্ডিং পাস ছাড়াই বিমানে উঠে পড়ে শিশুটি। পরে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে শিশুটিকে বিমানবন্দর থানা হেফাজতে রাখা হয়। কুয়েত এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে উঠে পড়া শিশু জোনায়েদ মোল্লা গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের পারইহাটি গ্রামের ইমরান মোল্লার ছেলে। এই ঘটনায় মুকসুদপুর উপজেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শিশুটির বাড়িতে অনেক লোকজনের সমাগম হচ্ছে।
বিমানবন্দর থানার ওসি আজিজুল হক মিয়া জানান, শিশুটি থানা হেফাজতে ছিল। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলায়। তার অভিভাবককে খবর দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে (১২ সেপ্টেম্বর) রাত তিনটার সময় শিশুটির চাচা ইউসুফ মোল্লার কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
শিশুটির চাচা ইউসুফ মোল্লা জানান, তার ভাতিজা জোনায়েদ মোল্লা খুবই দুরন্ত বালক। তাকে হাফেজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়েছিল। সেখান থেকে সে বার বার পালিয়ে আসে বলে তাকে মাদ্রাসা থেকে এনে স্কুলে ভর্তি করা হয়েছে। তবুও সে বাড়ি থেকে মাঝে মধ্যে হারিয়ে যায়, আবার একাই ফিরে আসে। তারই ধারাবাহিকতায় গত এক সপ্তাহ আগে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমরা তার খোঁজ পাই। সেখানে গিয়ে জানতে পারি সে সেখান থেকেও পালিয়ে গেছে। বিমানে ওঠার ব্যাপারে আমরা কিছুই জানতাম না। বিমানবন্দর থানা থেকে আমাদের ফোন করা হলে তাকে বিমানবন্দর থানা থেকে নিয়ে এসেছি। বর্তমানে সে বাড়িতেই আছে।
শিশু জোনায়েদ মোল্লা জানায়, বিমানবন্দরের সব নিরাপত্তারক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে সে বিমানে উঠে পড়ে। সে কোন কিছু না ভেবে শখের বসে বিমানে ওঠে। সে জানেই না যে বিমানে উঠতে বোর্ডিং পাস, পাসপোর্ট ও ভিসা লাগে। সে ভুল করে বিমানে উঠে পড়েছে বলে জানায়।
মুকসুদপুর থানার ওসি মুহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, বিমানবন্দর থানা থেকে আমাদের থানায় ফোন করা হলে আমরা তার পরিবারের খোঁজ করে সংবাদ দেই। সংবাদ দেওয়ার পরে তারা তাকে বিমানবন্দর থানা থেকে নিয়ে আসে। বর্তমানে শিশুটি তার বাড়িতেই আছে।