চিলমারী-রৌমারী রুটে শুরু হলো ফেরি চলাচল
প্রথমবারের মতো কুড়িগ্রামের চিলমারী থেকে রৌমারী রুটে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী উদ্বোধন করার পর ফেরি চলাচল শুরু হয়। এদিন ‘কুঞ্জলতা’ নামের ফেরিটি সর্বপ্রথম ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী থেকে রৌমারীর দিকে ছেড়ে যায়।
বিআইডব্লিউটিএ’র চিলমারী নৌবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে চিলমারী-রৌমারী রুটে নৌপথের দৈর্ঘ্য ২১ কিলোমিটার। তবে নদের ড্রেজিং করা হলে এ পথের দৈর্ঘ্য কমে হবে ১৩ থেকে ১৪ কিলোমিটার। কুড়িগ্রামের নয়টি উপজেলার মধ্যে দুটি উপজেলা রৌমারী ও চর রাজীবপুর ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে বিচ্ছিন্ন। এ দুটি উপজেলার মানুষকে নৌকায় করে ঝুঁকি নিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা শহরে যেতে হয়। এখন ফেরি চলাচল শুরু হওয়ার পর তারা নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারবেন।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে সুধি সমাবেশে বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, অতিরিক্ত সচিব বিআইডব্লিওটিসির চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, জেলা পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন।
ভাড়া হলো অর্ধেক
চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল উদ্বোধনের দিন চিলমারী বন্দরে এক সমাবেশে ফেরির ভাড়া কমানোর দাবি ওঠে। ওই সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ফেরি পারাপারের ভাড়া কমানোর দাবি তুলেন। পরে নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘চিলমারী থেকে রৌমারী রুটে শুরু হলো ফেরি চলাচল। এখানে ভাড়া কমানোর একটা দাবি রেখেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। আমি সর্বসাধারণের সুবিধার জন্য কর্মকতর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রস্তাবিত ভাড়া থেকে কমিয়ে সিএনজিচালিত বেবি ট্যাক্সি বা অটোরিকশা ৬৬০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকা, মোটরসাইকেল ২২০ টাকা থেকে কমিয়ে ১০০ টাকা, বাইসাইকেল ১২০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ টাকা, জনসাধারণের জন্য প্রস্তাবিত ৮০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ টাকা করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা ও অ্যাম্বুলেন্সের কোনো ভাড়া লাগবে না।’
এ ছাড়া অন্যান্য যানের ক্ষেত্রে ভাড়া শতকরা পনের ভাগ কমানো হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।