অধিক ফি আদায়ের অভিযোগে ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে অর্থদণ্ড
মোংলায় রোগীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফির অধিক আদায়ের অভিযোগে মনির ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পৌর শহরের ‘বাগেরহাট জেটি’ এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ অর্থদণ্ড করা হয়।
উপজেলা সহকারী (কমিশনার) ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবিবুর রহমান জানান, বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো সরকার নির্ধারিত টেস্ট ফির অতিরিক্ত আদায় করছে—রোগীদের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিকেলে পৌর শহরের বাগেরহাট জেটি এলাকার মনির ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে দেখা যায়, ডেঙ্গু ও রক্তের সিবিসি পরীক্ষার ফি সরকার নির্ধারিত ৪০০ টাকা থাকলেও নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা করে। এক্স-রে ফি ৭০০ টাকার পরিবর্তে ৯০০ টাকা আর প্রেগন্যান্সি টেস্টের ক্ষেত্রে ১০০ টাকার জায়গায় ১৫০ টাকা নেওয়া হচ্ছিল। তা ছাড়াও রোগীদের জন্য ডাক্তারদের দেওয়া ডিসকাউন্ট না প্রদানসহ নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মনির ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। অর্থদণ্ডের পাশাপাশি সতর্ক করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হাবিবুর রহমানের সঙ্গে ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শাহীন।
ডা. মো. শাহীন বলেন, বর্তমানে সরকার ডেঙ্গু রোগ নিয়ে খুব হার্ড লাইনে। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে ডেঙ্গুসহ অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষার ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ফি কার্যকর হচ্ছে কি না। সেজন্য আজ মনির ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। এ প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন পরীক্ষার ফি বাবদ রোগীদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত আদায় করে আসছিল। ফলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
ডা. মো. শাহীন আরও বলেন, এ অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। তাতে সরকারের উদ্দেশ্য যেমনি বাস্তবায়ন হবে, তেমনি রোগীরাও সাশ্রয়ী সেবা পাবেন।