আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে হাদির জানাজায় জনস্রোতের খবর
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিয়েছেন লাখো মানুষ। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে তার মরদেহ জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। সংসদ ভবনে দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত তার জানাজায় অংশ নেন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, রাজনীতিবিদসহ লাখো মানুষ। হাদির জানাজায় জনস্রোতের খবর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরায় হাদির জানাজায় বিপুল জনসমাগমের একটি ছবি দিয়ে লিখেছে, ২০২৪ সালের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের অন্যতম নেতা ওসমান হাদির জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তার স্মরণে আজ বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে।
হাদির জানাজা ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক প্রস্তুতির কথাও উঠে এসেছে আলজাজাজিরার প্রতিবেদনে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স লিখেছে, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসসহ লাখো মানুষ আজ প্রয়াত যুবনেতা ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিয়েছে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে হাদিকে দাফন করার মাধ্যমে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে তার বীরত্বসূচক ভূমিকাকে সম্মান জানানোর কথাও উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ডনের শিরোনাম, ‘বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে নিহত যুবনেতার জানাজা ও দাফন হয়েছে’।
ডন আরও লিখেছে, ‘শনিবার কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে একজন নিহত যুবনেতা ও নির্বাচনি প্রার্থীর জানাজা দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের নেতাসহ লাখো বাংলাদেশি অংশ নেন।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া হাদির জানাজা ও দাফনের আনুষ্ঠানিকতার সরাসরি আপডেট দিয়েছে। তাদের শিরোনাম–‘তুমি কখনো হারিয়ে যাবে না’- হাদির জানাজায় অধ্যাপক ইউনূস। এ ছাড়া হাদির জানাজায় জনস্রোতের কথাও গুরুত্বসহকারে উল্লেখ করেছে তারা।
ভারতের আরেক প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির শিরোনাম, ‘তার রক্ত বৃথা যাবে না-বললেন হাদির জানাজায় অংশ নেওয়া লাখো মানুষ’।
এ ছাড়া তুর্কি সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড, পাকিস্তানের জিও নিউজসহ বিশ্বের প্রথম সারির বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনেই উঠে এসেছে হাদির প্রতি দেশের মানুষের ভালোবাসার কথা।
গত ১২ ডিসেম্বর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে দুর্বৃত্তের গুলিতে আহত হন ওসমান হাদি। দেশে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও এভারকেয়ার হাসপাতাল এবং সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে প্রায় এক সপ্তাহ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকার পর গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে দশটায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন হাদি।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক