ডিজিটাল ভিখারি, সহায়তা নেন বিকাশে!

Looks like you've blocked notifications!
ভাইরাল হওয়া ছবি তুষার মালেকের ফেসবুক থেকে নেওয়া

ভিক্ষা করে পেট চলে তার। বয়স আনুমানিক ৬৫। তাকে সহাতায় পকেটে টাকা না থাকলেও সমস্যা নেই। অনলাইনেই দেওয়া যাবে ভিক্ষা। রাজধানী ঢাকার গুলশানে ভিক্ষা করেন ওই বৃদ্ধা। আজ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) তুষার মালেকের সঙ্গে দেখা হয় তার। যানজটে বসে ছিলেন প্রাইভেটে। বৃদ্ধা এগিয়ে এসে হাত পাতেন। পকেটে ক্যাশ নেই জানালে ওই বৃদ্ধা বলেন, তার বিকাশ আছে। এ ঘটনা বলে দিচ্ছে, ডিজিটাল বাংলাদেশে ক্যাশলেস লেনদেনের ছোঁয়া লেগেছে সবখানে। 

বলা চলে, দেশের সবার হাতেই এখন মুঠোফোন। তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ এ ঘটনা। ভিক্ষকের হাতে শুধু মেবাইল নয়, রয়েছে ক্যাশলেস লেনদেন সুবিধাও। 

তুষার মালেক এখন থেকে পাঁচ ঘণ্টা আগে দেন পোস্টটি। সেখানে তিনি লেখেন, ‘গুলশান ২-তে যানজটে আটকে ছিলাম। তিনি (খালা) আমাকে কিছু টাকা দিতে বললেন। আমি উত্তর দিলাম ক্যাশ টাকা নেই। তিনি হাসিমুখে বললেন, তার বিকাশ আছে।

তুষার আরও লেখেন, আমি কিছুটা হতবাক এবং বিস্মিত হই। প্রথমবার বিকাশে এভাবে টাকা দান করেছি। বাংলাদেশের মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেম কত দ্রুত এগিয়ে চলেছে তার নিখুঁত উদাহরণ হতে পারে এটি।

এই অনুভূতির কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ারের পর তা ভাইরাল হয়ে যায়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই পোস্টটিতে সাত হাজার ১০০ শেয়ার, প্রায় ১০ হাজার মানুষের রিঅ্যাকশন ও ৩০০ মানুষের কমেন্ট পড়েছে। 

নেটিজেনদের অনেকে কমেন্টে তাদের অভিজ্ঞতার কথাও জানান। আভাস রহমান নামে একজন জানান, ‘আমি বিকাশের মাধ্যমে রিকশা ভাড়া পরিশোধ করেছি।’

শামীম আহমেদ এই ঘটনার অনুভূতি জানাতে সেখানে লিখেছেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশে একধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ।’

তুষার মালিক বলেন, ‘বিষয়টা আমাকে অবাক করলেও খুশি হয়েছি। সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কাছে মোবাইল ব্যাংকিং পৌঁছে যাওয়ায় তারা খুব উপকৃত হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দেশ সত্যি এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা সবাইও এগিয়ে যাচ্ছি সমান তালে।’