কিশোরগঞ্জে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে জেলা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান নয়নসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জেলা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের হাতাহাতির জেরে বিকেল ৩টায় শহরের স্টেশন রোডে জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে কর্মব্যস্ত সড়ক অবরোধ করে আধা ঘণ্টা বিক্ষোভ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

জানা গেছে, দীর্ঘ ১৮ বছর পর আজ জেলার হাওর উপজেলা ইটনা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের আগমনকে কেন্দ্র জেলার বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় দুই পক্ষই জড়ো হয়।

এক পক্ষ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়েজ উমান খানের নেতৃত্বে এবং অপর পক্ষ সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান নয়নের নেতৃত্বে জড়ো হয়।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ওই এলাকায় আসার আগেই দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান নয়ন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক পাঠাগার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম স্বপন ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগকর্মী আরিয়ান আহমেদ বিনয়সহ পাঁচজন  আহত হন।

পরে এ ঘটনায় বিকেল ৩টার দিকে শহরের স্টেশন রোডে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনের কর্মব্যস্ত সড়ক অবরোধ করে আধা ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন লুৎফুর রহমান নয়নের অনুসারী নেতাকর্মীরা।

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক পাঠাগার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম স্বপন বলেন, ‘ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের ফুল দিতে গিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের লোকজনের হামলার শিকার হয়েছি। এ হামলায় আমি ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফর রহমান নয়নসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছি। আমরা এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কখন ও কোথায় এ ঘটনা ঘটেছে—এ সম্পর্কে আমার জানা নেই। যারা এই অভিযোগ করেছে তারা মিথ্যা এবং বানোয়াট কথা বলেছে।’