আদালতের সর্বত্র বাংলা ভাষায় কার্যক্রম চালু করতে হবে : মোস্তফা জব্বার

আদালতের সর্বত্র বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
রাজধানীর শাহবাগে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মিলনায়তনে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতি আয়োজিত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মোস্তাফা জব্বার এসব কথা বলেন।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতির সভাপতি সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি মোস্তাফা জব্বার, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু, ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমিতির মহাসচিব ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা বিভাগ) ডিএমপি মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী উচ্চ আদালতের সর্বত্র বাংলাভাষায় কার্যক্রম চালু করতে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এর ভূমিকা প্রত্যাশা করে বলেন, সতের কোটি মানুষের প্রাণের দাবি সর্বত্র বাংলা ভাষার প্রবর্তন। বাংলা পৃথিবীর প্রতিটি ডিজিটাল যন্ত্রে এখন লেখা যায়। পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিকরাও বলছেন, বাংলা ভাষা বাংলাদেশেই টিকে থাকবে এবং ঢাকা হবে বাংলা ভাষার রাজধানী।
ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার এই উদ্ভাবক আরও বলেন, করোনাকালে জীবনধারা সচল রাখার পাশাপাশি ভার্চুয়্যাল আদালত পরিচালনার মাধ্যমে বিচারালয় সচল রাখা হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, আমরা সবাই সম্মিলিতভাবে যেন ময়মনসিংহ অঞ্চলের উন্নয়ন সমুন্নত রাখতে পারি সেই লক্ষ্য রাখতে হবে। বৃহত্তর ময়মনসিংহের মানুষ গুণীজনকে সম্মানিত করে৷ আমরা আশা করি ভবিষ্যতে আরও কীর্তিমান মানুষ বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে দেশের সেবায় এগিয়ে আসবেন।
সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী আশরাফুল হাসান খসরু বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় যখন আসে তখন ওবায়দুল হাসান হাইকোর্টের আইনজীবী ছিলেন। সেই সরকারের নির্যাতন ও মামলার খড়গে যখন আমরা নিষ্পেষিত ছিলাম, তখন তিনি বিনামূল্যে আওয়ামী লীগের নেতাদের মামলা লড়েছেন। প্রধান বিচারপতি হিসেবে তিনি বিচার বিভাগে নতুন যুগের সূচনা করবেন বলে আমার বিশ্বাস।
সাবেক তথ্যমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রধান বিচারপতি হিসেবে বৃহত্তর ময়মনসিংহের কৃতি সন্তান ওবায়দুল হাসানের নিয়োগ পাওয়া আমাদের জন্য গর্বের। তার জীবন অসংখ্য মহান কাজে পরিপূর্ণ। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে একাত্তরের দালালদের বিচারে কাজ করেছেন। তিনি ট্রাইবুনালে মোট ১১টি মামলার রায় দিয়েছেন।
বাংলাদেশ পুলিশের ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন উর রশীদ তার বক্তব্যে প্রধান বিচারপতিকে অভিনন্দন জানান। ময়মনসিংহের ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরে বৃহত্তর ময়মনসিংহের সন্তান ওবায়দুল হাসানের বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাওয়াকে পুরো এলাকাবাসীর গর্ব বলে উল্লেখ করেন।
আলোচনার পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
এর আগে বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম, ঢাকাস্থ বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদ, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী কল্যাণ সমিতি, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংবাদিক সমিতি, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারি সমিতি, যুব সমিতি, ময়মনসিংহ জেলা সমিতি, টাঙ্গাইল জেলা সমিতি, কিশোরগঞ্জ সমিতি, জামালপুর, নেত্রকোণা ও শেরপুর জেলা সমিতি সংবর্ধিত অতিথি প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করে।