সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূতের গাড়িবহরে হামলা : ড. বদিউলের শ্যালকের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

Looks like you've blocked notifications!
সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সা বার্নিকাট। এনটিভির ফাইল ছবি

সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় করা মামলায় ড. বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক ইশতিয়াকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ বুধবার (৪ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবী এই আদেশ দেন।

এদিন পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। একইসঙ্গে আসামি মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। বিচারক গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩১ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। 

এদিকে, আসামি মুজাহিদ আজমীর তানহা মারা যাওয়ায় তাকে মামলার দায় হতে অব্যাহতি দেন আদালত।

এর আগে, বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলা মামলায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর নয় আসামিকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।  আসামিরা হলেন—মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদ, নাইমুল হাসান, ফিরোজ মাহমুদ, মীর আমজাদ হোসেন, সাজু ইসলাম, রাজীবুল ইসলাম, শহিদুল আলম খান, সিয়াম ও অলি আহমেদ।

২০১৮ সালে ৪ আগস্ট রাতে সুজনের (সুশাসনের জন্য নাগরিক) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের ইকবাল রোডের বাড়িতে যান বার্নিকাট। ওই রাতে নৈশভোজের নামে তিনি গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র করছিলেন বলে খবর পায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এরপর আনুমানিক রাত ১১টার দিকে ছাত্রলীগের নাইমুল হাসান ওরফে রাসেলের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের একটি দল বার্নিকাটের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ছোড়ে। সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের বাড়িতেও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।

এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট রাতে ড. বদিউল আলম মজুমদার বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন। ২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আব্দুর রউফ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়।

২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরীর আদালতে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে নির্দেশ দেন। ডিবির সহকারী পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার নিচে নন, এমন একজন মামলাটির অধিকতর তদন্ত করবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।