ঘূর্ণিঝড় ‘হামুনে’র কারণে সেন্টমার্টিন্স ছেড়েছে আড়াই হাজার পর্যটক
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘হামুনে’ রূপ নেওয়ায় সেন্টমার্টিন্স দ্বীপে ভ্রমণে যাওয়া আড়াই হাজার পর্যটক নিয়ে তিনটি জাহাজ টেকনাফে ফিরে এসেছে। আজ সোমবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যার মধ্যে কক্সবাজার জেলা পরিষদ থেকে তাদের ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘হামুনে’ রূপ নেওয়ায় কক্সবাজারসহ সব সমুদ্রবন্দরে চার নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কক্সবাজারসহ দেশের উপকূল অঞ্চলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে।
জেলা পরিষদের নির্দেশে সেন্টমার্টিন্স দ্বীপে ভ্রমণে যাওয়া আড়াই হাজার পর্যটক নিয়ে তিনটি জাহাজ আজ সন্ধ্যায় টেকনাফে এসে পৌঁছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ভ্রমণে যাওয়া সব পর্যটককে আজ বিকেলের মধ্যে সেন্টমার্টিন্স দ্বীপ ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে এমবি বারো আউলিয়া, কেয়ারী সিন্দাবাদ ও কেয়ারী ক্রুজ নামে তিনটি জাহাজ পাঠানো হয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, চার নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি হওয়ায় সেন্টমার্টিন্স দ্বীপ থেকে সব পর্যটককে আজ বিকেলের মধ্যে দ্বীপ ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর জন্য সেন্টমার্টিন্স দ্বীপের চেয়ারম্যান ও পুলিশ বিভাগকে মাইকিং করতে বলা হয়, যাতে দ্বীপে কোনো পর্যটক অবস্থান না করে।
মো. ইয়ামিন হোসেন আরও জানান আবহাওয়া পরিস্থিতি ভালো না হওয়া পর্যন্ত সেন্টমার্টিন্স দ্বীপে পর্যটক জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে আসা পর্যটকদের সতর্কতার সঙ্গে গোসল করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি গভীর পানিতে নামতে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
গভীর সাগরে মাছ ধরার ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে। গভীর নিম্নচাপটি বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ও উপকূলের ৯০০ থেকে ১০০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। নিম্নচাপের কেন্দ্রের ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। নিম্নচাপ কেন্দ্রে সাগর উত্তাল রয়েছে।