বড় ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই বাংলাদেশ ছাড়ল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’
ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে। এটি দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপের আকারে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া হয়ে মিয়ানমারের দিকে চলে যাচ্ছে। এটি বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে এবং এতে আর কোনো ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
আজ বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এনটিভিকে এসব তথ্য জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক।
আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক এনটিভিকে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় হামুন গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাত ১টার দিকে কুতুবদিয়া অঞ্চল দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে। এটি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া হয়ে মিয়ানমারের দিকে চলে যাচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য এটি এখন গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। হামুন ঘূর্ণিঝড় পর্যায়ে থেকেই উপকূল অতিক্রম করেছে। এখন বাংলাদেশের জন্য কোনো আশঙ্কা নেই। এর প্রভাবে চট্টগ্রামে গতকাল সন্ধ্যা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছি। হাতিয়া, সন্দ্বীপ, বান্দরনবান, খাগড়াছড়ি, টেকনাফসহ বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে। এর প্রভাবে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট আমরা পাইনি।’
ঘূর্ণিঝড় হামুন নিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ ১৫ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় হামুন উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার দিনগত রাত ১টায় উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করেছে এবং দুর্বল হয়ে সাতকানিয়া, চট্টগ্রামে স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এটি স্থলভাগের অভ্যন্তরে আরও অগ্রসর ও বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে।’
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় হামুন নিয়ে আর কোনো বিশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে না বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।