হামুনের তাণ্ডবে অচল কক্সবাজার, দুর্ভোগে মানুষ
ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে অচল হয়ে পড়েছে কক্সবাজার, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ। জেলা শহর ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হামুনের তাণ্ডবে জানমালের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাছপালা। আজ বুধবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় হামুনে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও জানা সম্ভব হয়নি। কারণ, নেটওয়ার্ক ও বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় উপজেলাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। তবে এবারের ঘূর্ণিঝড়ে গাছপালার বেশি ক্ষতি হয়েছে। শুধু জেলা শহরেই হাজার হাজার গাছ রাস্তার উপর ভেঙে পড়ে আছে।’
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা প্রাথমিকভাবে ঢেউ টিন ও নগদ টাকা পাবেন। আমরা খুব দ্রত ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছানোর ব্যবস্থা করছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রশাসনের কোনো গাফেলতি ছিল না। ঘূর্ণিঝড় হামুনের পূর্বাবাসে আমরা আগে থেকে সতর্ক বার্তা প্রচার করেছি। সেন্টমার্টিন্স দ্বীপ থেকে পর্যটকদের সরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছি। সত্যি বলতে কি, এবারের ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজারমুখী ছিল না। কিন্তু, হঠাৎ দিক পরিবর্তন করে কক্সবাজারে আঘাত হানায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি।’
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে অচল হয়ে পড়েছে কক্সবাজার। নেই বিদ্যুৎ, নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক। একই সঙ্গে সড়ক-উপসড়কে গাছ উপড়ে পড়ে বন্ধ যানবাহন চলাচল। দেয়াল ও গাছচাপায় প্রাণ গেছে তিনজনের। আহত হয়েছে অন্তত শতাধিক।
ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে জেলা শহরের পাহাড়তলী এলাকার খুইল্ল্যা মিয়ার ছেলে আবদুল খালেক (৪০), মহেশখালী এলাকার হারাধন দে (৪৫) ও চকরিয়া বদরখালী এলাকার জাফর আহমদের ছেলে আসকর আলী (৪৭) নিহত হন।
শুধু সড়েকই নয় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে উপড়ে পড়েছে বিশাল আকৃতির গাছ। বৈদ্যুতিক খুঁটিও উপড়ে পড়েছে সড়কে। ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে শহরের পাশাপাশি উপজেলাগুলোরও একই অবস্থা। চরম দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ।