ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড বান্দরবান
বান্দরবানে ঘূর্ণিঝড় হামুনের ঝড়ো বাতাসে বিভিন্ন স্থানে গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি এবং ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ১৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল জেলায়। আজ বুধবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় ত্রুটিপূর্ণ লাইন মেরামতের পর বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করা হয়।
প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে বান্দরবান-কেরানীহাট মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ভেঙে পড়ে অসংখ্য গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি। এতে বান্দরবান-দোহাজারি প্রধান বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে গতকাল রাত ১১টা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। অপরদিকে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে জেলার সাতটি উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তারমধ্যে জেলার ভাণ্ডারীপাড়া, চাকমাপাড়া, যৌথখামার, মেঘলাসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে পেঁপে বাগান, ঘরবাড়ি, ক্ষেত-খামার সবচেয়ে বেশি লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত উল্লা মিয়া ও জানে আলম বলেন, হঠাৎ রাতে ১১টা থেকে ১২টায় ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়। ঝড়ো বাতাসের ঘরবাড়ি উড়িয়ে নিয়ে গেছে। পেঁপে ও কলা বাগানের গাছপালা ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছে। ঘরের উপরে গাছ ভেঙে পড়ে কয়েকজন আহত হয়েছে। তবে মারা যায়নি কেউ।
বান্দরবান বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম আমির জানান, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বান্দরবান-দোহাজারি বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে গাছপালা ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও সরবরাহ লাইনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা চেষ্টার পর তারা বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করতে সক্ষম হন। শতভাগ স্বাভাবিক করতে কয়েক দিন সময় লাগবে।
জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে প্রাণহাণির কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।