বিএনপি-আ.লীগের সমাবেশ আজ, সাজাপ্রাপ্ত কারও বক্তব্য প্রচারে মানা

Looks like you've blocked notifications!
আওয়ামী লীগ (বামে) ও বিএনপির লোগো তাদের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

বিএনপি ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে পছন্দের জায়গায় সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ২০ শর্তে দল দুটিকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে তারা। বলা হয়েছে,  আগামীকাল শনিবার (২৮ অক্টোবর) কোনো দলই সাজাপ্রাপ্ত কারও বক্তব্য সমাবেশে প্রচার করতে পারবে না। আর সমাবেশ শেষ করতে হবে বিকেল ৫টার মধ্যে। 

শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি এবং জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ করবে। দল দুটিকে দুপুর ১২টার আগে সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীদের জমায়েত না করতে বলা হয়েছে।

একই শর্তে দুদলকে ডিমপি বলেছে, এই অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়, স্থান ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে অনুমোদন নিতে হবে। স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে। অনুমোদিত স্থানের মধ্যেই সমাবেশ এর যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। দুপুর ১২টার আগে কোনোভাবেই জনসমাগম করা যাবে না। নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে। নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। অনুমোদিত স্থানের বাইরে কোথাও লোক সমবেত হতে পারবে না। আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় মাইক অথবা শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না। ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন, বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না। অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম অবশ্যই শেষ করতে হবে।

সমাবেশ সমাপ্তির পর প্রস্থানের সময় রাস্তায় কোথাও কোনো সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বা অবস্থান করা যাবে না উল্লেখ করে শর্তে আরও বলা হয়েছে, আদালত কর্তৃক সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি সমাবেশে বক্তব্য প্রদান বা তার কোনো বক্তব্য সমাবেশে প্রচার করা যাবে না। রাস্তার বামপাশের সড়ক ন্যূনতম ব্যবহার করে সমাবেশ করতে হবে এবং অন্য সড়কগুলো কোনোভাবেই ব্যবহার করা যাবে না। আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কার্যকলাপ করা যাবে না । রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান করা যাবে না। উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না। সমাবেশে ব্যানারের আড়ালে কোনো ধরনের লাঠিসোটা বা রড সদৃশ কোনো বস্তু ব্যবহার করা যাবে না। আইনশৃঙ্খলার অবনতি ও কোনো বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।

এসব শর্তা যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। সংস্থাটি বলছে, জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ছাড়াই এই অনুমতি বাতিল করার ক্ষমতা তারা সংরক্ষণ করে।