গাজীপুরে শ্রমিক আন্দোলনে দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত, বিজিবি মোতায়েন
গাজীপুরের সদর উপজেলায় বেতন বাড়ানোর দাবিতে পোশাক শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এতে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপারসহ (এএসপি) এক পরিদর্শক আহত হন। পরে সেখানে অপ্রীতিকর ঘটনা ও সহিংসতা ঠেকাতে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডসহ (বিজিবি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বেতন বাড়ানোর দাবিতে গত ২৩ অক্টোবর থেকে আন্দোলনে নামে শ্রমিকরা। গাজীপুরের মৌচাকের তেলির চালা এলাকা থেকে শুরু হওয়া শ্রমিক আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের এলাকায়। কোনাবাড়ি, মৌচাক, সফিপুর, চন্দ্রা, কালিয়াকৈর, ভোগড়া বাইপাস সড়ক, বাসন সড়ক, চান্দনা চৌরাস্তা বেশ কিছু এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভের নামে গাড়ি, কারখানায় অগ্নিসংযোগ ও বেশ কিছু কারখানায় ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ অবস্থায় শিল্প এলাকায় বেশ কিছু কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। আজ শনিবার (৪ নভেম্বরর) অধিকাংশ পোশাক কারখানা খুলেছে। সকাল থেকে এসব কারখানায় শ্রমিক কাজে যোগ দিলেও আন্দোলনে ছিলেন অনেকেই। তারা বিক্ষোভের পাশাপাশি রাস্তা অবরোধ করতে যায়। এ সময় রাস্তা থেকে তাদের সারিয়ে দিতে গেলে শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এসএম নিট গার্মেন্টসের শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করে। এ সময় তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় উত্তেজিত শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছুঁড়লে শ্রমিকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এ সময় শ্রমিকদের ছোঁড়া ইটের আঘাতে গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২-এর শ্রীপুর সাব-জোনের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আসাদ, পরিদর্শক আবদুর নুরসহ কয়েকজন আহত হন। এরমধ্যে এক নারী গার্মেন্টস কর্মী মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি সদস্যরাও কাজ করছেন।