জোটগত নির্বাচনের ঘোষণা ১৪ দলের
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটগতভাবে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল। শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, ১৪ দল এক ছিল এবং থাকবে।
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর হাসপাতাল মাঠে আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে ১৪ দলের নেতারা এ সব কথা বলেন।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, ২৮ তারিখের পর তারা (বিএনপি) জনসাধারণের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে গেছে। তাদের দফাও শেষ, খেলাও শেষ। এখন আমাদের খেলা। ২৮ অক্টোবরের পর তাদের মাজা ভেঙে গেছে, মাজা ভাঙা বিএনপি আর সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছর দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে, সে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও ১৪ দলকে এবং নৌকায় ভোট দিতে হবে।
১৪ দলের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ২৮ তারিখের পর বিএনপি-জামায়াত দেশে অরাজকতা শুরু করেছে। তারা বলছে, কোনো অবস্থায়ই নির্বাচন হতে দেবে না, কিন্তু আমরা নির্বাচন করতে প্রস্তুত এবং সে নির্বাচন হবে শেখ হাসিনার অধীনে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি আমির হোসেন আমু বলেন, বিএনপি কখনও গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায় আসেনি, তাই তারা গণতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায় আসা শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা গোলাম আজম, নিজামীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়ে প্রমাণ করেছে—তারাই দেশের পরাজিত শক্তি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জেপির মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক কমরেড দিলিপ বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি ড. শাহাদাৎ হোসেন, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী ফারুক প্রমুখ।