অবরোধে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাতায়াত বৃদ্ধি
বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত বৃদ্ধি পেয়েছে অবরোধে। ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে কাস্টমসের রাজস্ব আয়।
গত তিন মাসে ভারতে যাতায়াতকারী যাত্রীদের কাছ থেকে ভ্রমণ কর ও স্পট ট্যাক্স বাবদ সরকারের ২৬ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ৭৩ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ সময় দুই হাজর ৫২৪ টিডিএম (আটক মামলা) হয়েছে।
জানা গেছে, চেকপোস্ট কাস্টমসের কর্মকর্তাদের সতর্কতায় এবং সাম্প্রতিক কিছু উদ্যোগের কারণে ট্যাক্স আয় বেড়েছে। অবৈধ মালামাল পাচার করার সুযোগ পাচ্ছে না সুযোগসন্ধানীরা। ল্যাগেজ পার্টির অতিরিক্ত পণ্য এনে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি বন্ধ হয়েছে অনেকটা। সরকারের ব্যাগেজ রুলস অনুযায়ী অতিরিক্ত পণ্য সঙ্গে আনলে স্পট ট্যাক্স পরিশোধ করার সুবিধা পারছেন যাত্রীরা। বর্তমানে বহিরাগত বা দালালের অবাধ বিচরণ রয়েছে কাস্টমস তল্লাশি কেন্দ্রে। ফলে যাত্রী সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ঢাকার যাত্রী টুটুল মিয়া বলেন, ‘বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে আসা-যাওয়া অনেকটা সহজ হয়েছে। আগে নানা ভাবে হয়রানি হতে হতো দালালদের হাতে। বর্তমানে বেনাপোল কাস্টমস চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের পর স্বাচ্ছন্ধ্য বোধ করছি আমরা।’
যশোরের যাত্রী আল মামুন বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি ব্যবসা করে থাকি। এলসির আগে অনেক সময় ভারত থেকে পণ্যের নমুনা নিয়ে মার্কেট যাচাইয়ের করতে হয়। আগে নমুনা আনলে নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হতো। বর্তমানে এ সমস্যা আর নেই।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার অথেলো চৌধুরী জানান, গত তিন মাসে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভ্রমণ কর বাবদ ২৫ কোটি ৭০ লাখ ৬৪ হাজার টাকা ও মালামালের স্পট ট্যাক্স থেকে এক কোটি পাঁচ লাখ ৬৬ হাজার ৭৩ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। সে হিসেবে মোট ২৬ কোটি ৭৬ লাখ৩০ হাজার ৭৩ টাকার রাজস্ব আয় হয়েছে। দুই হাজার ৫২৪ ডিএম (আটক মামলা) হয়েছে। আটক করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে শাড়ি, থ্রিপিস, কসমেটিক্স পণ্য, কম্বল, প্রেসার কুকার, রাইস কুকার, ওষুধ প্রভৃতি।
এর আগে এত অবৈধ মালামাল ডিএম (আটক) করা হয়নি। বর্তমানে ল্যাগেজ পার্টি যে সব অবৈধ মালামাল পাসপোর্ট যোগে নিয়ে আসেন তার সবই আটক করা হয়। পরে আটক পণ্যের ট্যাক্স আদায় করে খালাস দেওয়া হয়।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার আব্দুল হাকিম বলেন, ল্যাগেজ পার্টি নামধারী যে সব যাত্রী পাসপোর্টযোগে অবৈধ মালামাল এনে ব্যবসা করত তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। অবৈধ মালামাল আনলেই তা আটক করে ট্যাক্স আদায় করা হচ্ছে। তবে কোনো সাধারণ যাত্রী যাতে হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার না হয় সেজন্য কাস্টমস কার্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় যাত্রীসেবা ভালো করার চেষ্টা করছি।