টাকা চুরি দেখে ফেলায় হত্যা, যুবকের আমৃত্যু কারাদণ্ড

Looks like you've blocked notifications!

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড এলাকায় খায়রুল ইসলাম বাবু নামে এক ব্যক্তিতে হত্যার অভিযোগে রাজিবুল হক ওরফে মুন্না নাম এক যুবকের আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫-এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। 

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি শওকত আলম (পিপি) এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিচারক আসামিকে হত্যার ঘটনায় আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন এবং কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন। 

পিপি আরও বলেন, বিচারক রায় শেষে আসামি মুন্নাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এজাহার থেকে জানা গেছে, রাজধানীর নিউ মার্কেট থানাধীন এলিফ্যান্ট রোডের ট্রপিক্যাল সেন্টারে ফোরডি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেডে পিয়ন হিসেবে কাজ করতেন বাবু। একই ভবনে মুন্না ব্রাউন ফিল্ডে কাজ করতেন। ব্রাউন ফিল্ডে কক্ষ সংস্কারের কারণে সাময়িকভাবে ফোরডি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেডে ব্রাউন ফিল্ডের কাজ চলছিল। চাকরির সুবাদে তাদের পরিচয়। মুন্নার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ছিল। তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। ২০১১ সালের ১০ মে মুন্না অফিসে আসে। বাবুকে দেখেও কথা না বলে চলে যায়। পরদিন আবার আসে। তাদের কথা হয়। এরই মাঝে অফিসের ড্রয়ার থেকে টাকা চুরির চেষ্টা করে মুন্না। তা দেখে ডাক-চিৎকার করে বাবু।  মুন্না ইলেকট্রিক তার পেচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে। পরে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। 

এ ঘটনায় ২০১১ সালের ১১ মে বাবুর বড় বোন আমেনা বেগম রাজধানীর নিউ মার্কেট থানায় অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে ২০১২ সালের ১৫ নভেম্বর মুন্নাকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি (দক্ষিণ) পুলিশের পরিদর্শক নুরুল আমিন। 

২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল মুন্নার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।