নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বেশি কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জুনোটিকডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. শ ম গোলাম কায়ছার স্বাক্ষরিত এক স্বাস্থ্যবার্তায় এ নির্দেশনা জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, ‘নিপাহ একটি ভাইরাসজনিত মারাত্বক প্রাণঘাতী রোগ। সাধারণত শীতকালে নিপাহ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। কাঁচা খেজুরের রসে বাদুড়ের বিষ্ঠা বা লালা মিশ্রিত হয় ও ওই বিষ্ঠা বা লালাতে নিপাহ ভাইরাসের জীবাণু থাকে। ফলে খেজুরের কাঁচা রস পান করলে মানুষ নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে।’
নিপাহ রোগ প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে স্বাস্থ্যবার্তায় বলা হয়, খেজুরের কাঁচা রস না খাওয়া, কোনো ধরনের আংশিক খাওয়া ফল না খাওয়া, ফল-মূল পরিস্কার পানি দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে খাওয়া, নিপাহ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া ও আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার পর সাবান ও পানি দিয়ে দুই হাত ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে।
এতে বলা হয়, ‘বর্তমান সময়ে বড়দের পাশাপাশি শিশু-কিশোরেরা নিপাহ ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। খেজুরের কাঁচা রস সংগ্রহ, বিক্রয় ও বিতরণের সাথে সংশ্লিস্ট গাছীদের ও জনসাধারনকে প্রাণিবাহিত সংক্রামক ব্যাধি রোগ নিপাহ ভাইরাস সম্পর্কে জানানো হলে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব। এই রোগে মৃত্যুর হার প্রায় ৭০ শতাংশেরও বেশি।’
স্বাস্থ্যবার্তায় জানানো হয়, ২০২২-২৩ সালে দেশে এ রোগে আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনই মারা গেছে। তাই প্রতিরোধই হচ্ছে এই রোগ থেকে বাঁচার উপায়।
খেজুরের রস বিক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ করা হয়েছে কেউ কাঁচা রস খেতে চাইলে যাতে তারা বিক্রি না করে। তবে খেজুরের রস থেকে তৈরি গুড় খেতে কোনো বাধা নেই। নিপাহ রোগের প্রধান লক্ষণসমূহ হলো—জ্বরসহ মাথা ব্যাথা, খিঁচুনি, প্রলাপ বকা, অজ্ঞান হওয়া ও কোনো কোনো ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হওয়া।