নওগাঁয় শীতে জবুথবু নিম্ন আয়ের মানুষ
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/12/15/naogaon-winter-pic-.jpg)
তাপমাত্রা এক অঙ্কের ঘরে এখনও নামেনি। তারপরও ছড়িয়ে পড়ছে ঘন কুয়াশা, বইছে মৃদু বাতাস। আর তাতেই শীতে জবুথবু গরম পোশাকহীন অসহায় হতদরিদ্ররা। বলছিলাম সীমান্তবর্তী উত্তরের জেলা নওগাঁর কথা। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরের এ জেলার বদলগাছীতে ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশার কারণে দিনেও যানবাহনকে সড়ক পারি দিতে হচ্ছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
বদলগাছি আবহাওয়া অধিদপ্তরের টেলিপ্রিন্টার অপারেটর আরমান হোসেন বলেন, ঘন কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। আজ নওগাঁর বদলগাছীতে ১১ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগের দিন ১১ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল। এর আগে গত সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
জেলাজুড়ে বইছে হিমেল বাতাস। সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় হিমেল বাতাস। এরপর রাতভর বৃষ্টির মতো টিপটিপ করে কুয়াশা ঝরে। সকাল পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা থাকছে গোটা জনপদ। তাই সকালে ও সন্ধ্যায় সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে হচ্ছে।
কনকনে শীতে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পাশের বগুড়ার সান্তাহার থেকে ব্যক্তিগত কাজে মোটরসাইকেলযোগে নওগাঁ শহরে এসেছিলেন নেহাল আহম্মেদ প্রান্ত। শীতে কাঁপছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘এখনই যদি এ রকম কুয়াশা ও ঠাণ্ডা পড়ে এবং আগামী দিনে যদি আরও তাপমাত্রা কমে যায়, তাহলে কী পরিমাণ শীত পড়তে পারে তা অনুমান করা কঠিন। এতে খুব কষ্ট পাবে ছিন্নমূল হত দরিদ্ররা।’
ভোরে তাপমাত্র কম থাকায় খেটে খাওয়া মানুষের কষ্ট বাড়ছে দিনদিন। খেটে খাওয়া শ্রমিকদের স্বল্প গরমের পোশাকে বের হতে দেখা যাচ্ছে। তাদের একজন বলেন, আমাদের অত টাকা পয়সা নেই। কোনো রকম দিন পার করি। তারমধ্যে গরম পোশাক কেনার টাকা থাকে না।