কুমিল্লায় আ.লীগনেতাকে হত্যার ঘটনায় স্ত্রীর মামলা
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় আওয়ামী লীগনেতা মো. মোস্তফা মিয়াকে (৩৮) হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে নিহতের স্ত্রী রোজিনা আক্তার বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে তিতাস থানায় মামলাটি করেন। মামলায় আরও চার থেকে পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন—তিতাসের রঘুনাথপুর গ্রামের সাইদুল (৩৬), মো. মাইন উদ্দিন ও দাউদকান্দি উপজেলার খোশকান্দি গ্রামের নাজিম উদ্দিন। আসামি সাইদুলের বিরুদ্ধে ২০২০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মুরাদনগর ও তিতাস থানায় ছয়টি ডাকাতি মামলা রয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কান্তি দাশ। তিনি জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আর ময়নাতদন্ত শেষে মোস্তফার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এর আগে গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তিতাসের নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামে কুপিয়ে হত্যা করা হয় মোস্তফাকে। ভিটিকান্দি ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেব দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। এ ছাড়া মোস্তফার নামেও সাতটি ডাকাতির মামলা রয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মোস্তফা ও সাইদুল এলাকায় চিহ্নিত ডাকাত। তারা দুজনে একই ডাকাত দলের সদস্য ছিল। বছরখানেক আগে ডাকাতি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধের সষ্টি হয়। এর জেরে গত বছরের মাঝামাঝি সময় মোস্তফা তার সহযোগীদের নিয়ে সাইদুলকে কুপিয়ে হাত ও পায়ের রগ কেটে দেয়। পরে মৃত ভেবে সাইদুলকে সড়কের পাশে ফেলে চলে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। সুস্থ হয়ে প্রতিশোধ নিতে সুযোগ খুঁজতে থাকে সাইদুল।
গতকাল বিকেলে মোস্তফা তার বন্ধুদের নিয়ে চা দোকানে তাস খেলছিল। এ সময় সাইদুল তার সহযোগীদের নিয়ে এসে হামলা করে। এ সময় মোস্তফাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জবাই করে তারা। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
মোস্তফার স্ত্রী রাজিনা জানান, তাদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে দেশের বাইরে আছে। সোমবার দুপুরে খাবার খেয়ে ঘর থেকে বের হন তার স্বামী। পরে প্রতিবেশীদের কাছে শুনতে পারেন তার স্বামীকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।