তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুনে পুড়ল বিএনপিনেতাসহ এক মা-শিশু
ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় ট্রেনে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে নেত্রকোনার মা- শিশু সন্তান ও এক বিএনপিনেতার মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন নেত্রকোনা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের বরুনা গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলের বউ নাদিরা আক্তার পপি (৩৫), তার ছেলে ইয়াসিন আরাফাত (৩) ও নেত্রকোনা জেলা শহরের নাগড়া এলাকার বশির ঢালীর ছেলে মো. রশিদ ঢালী (৬৫)। গতকাল মঙ্গলবার ভোরে এই ঘটনা ঘটে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম মনিরুজ্জামান দুদু বিএনপিনেতার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদু জানান,আব্দুর রশিদ ঢালী জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেত্রকোনা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড শাখার সাবেক সভাপতি। এর আগে তিনি যুবদলের নেতা ছিলেন।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. আনোয়ারুল হক এবং সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালীও তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। শোকবার্তায় তাঁরা উল্লেখ করেন,‘আব্দুর রশিদ ঢালী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ইন্তেকাল করেছেন।’
জানা গেছে, আব্দুর রশিদ ঢালী শহরের বড়বাজার এলাকায় গার্মেন্টস কাপড়ের ব্যবসা করতেন। তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তিনি নেত্রকোনা স্টেশন থেকে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথে তেজগাঁও এলাকায় এ নাশকতার ঘটনা ঘটে। এতে চারজন মারা যান। এদের মধ্যে ঢালী ছাড়াও আরও দুজন রয়েছেন নেত্রকোনার। অপর একজনের পরিচয় জানা যায়নি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনায় বিএনপিকে দায়ী করেন। গতকাল মঙ্গলবার রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিজয় শোভাযাত্রার উদ্বোধনী সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘রেলে যারা আগুন দিয়ে মানুষ খুন করেছে, তাদের ক্ষমা নেই।’
অন্যদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সরকারের জড়িত থাকার অভিযোগ করেন। বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করে তিনি বলেন,‘সরকারি দল নাশকতা করে হরতাল-অবরোধকারীদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।’
নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম বলেন, ঢাকায় ট্রেনে আগুনে চারজন মারা গেছে। তার মধ্যে নেত্রকোনার মা-শিশু সন্তান ও এক বিএনপিনেতার মৃত্যু হয়েছে বলে পরিচয় পাওয়া গেছে।