মোংলা বন্দর দিয়ে প্রথমবার হিমায়িত ফল আমদানি
মোংলা বন্দর দিয়ে প্রথমবার আমদানি হলো হিমায়িত ফল আপেল। আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে ৪০ ফিটের দুটি কন্টেইনারে আসা ৫১ মেট্রিক টন হিমায়িত ফল খালাস করা হয়।
এর আগে গত ১২ ডিসেম্বর লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী এম ভি মার্কস হাই ফং জাহাজে মেসার্স এশিয়ান ফ্রুটস (বিডি) লি. এই আপেল মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করে।
এরপর গত ১৯ ডিসেম্বর মোংলা কাস্টমস ও উদ্ভিদ সংঘ নিরোধ অফিসের প্রতিনিধি এবং বন্দরের ট্রাফিক বিভাগের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে হিমায়িত ফলের চালানটির কায়িক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে হিমায়িত ফলের চালানটি খালাস করা হয়।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপসচিব মো. মাকরুজ্জামান জানান, আমদানি করা হিমায়িত ফল ডেলিভারির সময় বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী উপস্থিত থেকে অংশীজনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন মো. আসাদুজ্জামান, সদস্য (প্রকৌশল ও উন্নয়ন) ড. এ কে আনিসুজ্জামান, পরিচালক (ট্রাফিক) কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মেহেদী, কাস্টমস কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি ও আমদানিকারকরা।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেন, দক্ষিণ, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উন্নয়নের চাবিকাঠি স্বপ্নের ‘পদ্মা সেতু’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনের পর যোগাযোগ ব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্য তথা সার্বিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যাপক সুফল হচ্ছে। এর আগে ফেরি থাকায় ব্যবসায়ীরা ভোগান্তির জন্য মোংলা বন্দর ব্যবহার করতে চাইতেন না। এখন যেহেতু ঢাকা ও মোংলার মধ্যে কোনো ফেরি নেই, তাই পদ্মা সেতু হয়ে সরাসরি মোংলা বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বেড়েছে। স্বল্প সময়ে জাহাজ হ্যান্ডলিং, জেটি অভ্যন্তরে কন্টেনার স্টাফিং সুবিধা, পর্যাপ্ত ইকুইপমেন্ট সুবিধা ও নিরাপদ বন্দর হওয়ায় ব্যবসায়ীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে মোংলা বন্দর।