নির্বাচন হলে গভীর সংকটে পড়বে দেশ : ১২ দলীয় জোট
আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হলে বাংলাদেশ গভীর সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছে বিএনপির সঙ্গে সরকারবিরোধী আন্দোলনে থাকা ১২ দলীয় জোট। জোটনেতারা বলেছেন, নির্বাচন হলে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ হারাবে তৈরি পোশাকসহ রপ্তানির বড় বাজার। অর্থনীতিতে সংকট সৃষ্টি হবে। এতে করে বাংলাদেশ মহাবিপদের দিকে ধাবিত হবে। শেখ হাসিনার পদত্যাগই এর সমাধান।
আজ শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর দৈনিক বাংলার মোড়, কালভার্ট রোড় ও ফকিরাপুল এলাকায় গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করে ১২ দলীয় জোটের নেতারা এসব কথা বলেন।
জোটের নেতারা বলেন, সূর্যাস্তের পর যেমন অন্ধকার নেমে আসে, তেমনি ৭ জানুয়ারির পর বাংলাদেশের আকাশে অমাবস্যার অন্ধকার নেমে আসবে। ডামি নির্বাচনের আয়োজক আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন ও পরিচালক হিসেবে থাকবে শেখ হাসিনা। ভোটকেন্দ্রগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থাকবে ভোটারের ভূমিকায়। আর সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ বাকশালি স্লোগান দিয়ে উৎসব পালন করবে। সুতরাং, এই নির্বাচন হতে দেওয়া যাবে না।
জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক এমপি নওয়াব আলী আব্বাস খান বলেন, এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা পাতানো নির্বাচনের খেলায় সারাদেশকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আগামী ৭ তারিখ জনগণ এই প্রহসন মার্কা নির্বাচনকে প্রতিহত করবে।
এ সময় ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, বাংলাদেশে একটি ডামি নির্বাচন হতে চলেছে। দেশের জনগণ এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে। শেখ হাসিনার ঠিকানা আর গণভবনে হবে না। দেশবাসী প্রস্তুত থাকুন।
গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস রেজা।